আজকাল ওয়েবডেস্ক: গোটা পৃথিবী তাঁকে চেনে ‘টার্মিনেটর’ নামে। একাধারে তিনি, নেতা, অভিনেতা এবং বিশ্ববন্দিত বডিবিল্ডার। তিনি আর্নল্ড শোয়ার্জেনেগার। ৭৭ বছর বয়সে পৌঁছেও ফিটনেসে তিনি আজও তরুণদের চেয়ে কোনও অংশেই কম যান না।
2
10
অভিনয়ের পাশাপাশি আর্নল্ড শোয়ার্জেনেগার বডিবিল্ডিংয়ের জগতেও একজন কিংবদন্তি। সাত-সাতবার মিস্টার অলিম্পিয়া খেতাব জিতেছেন আর্নল্ড। তাঁর শরীরচর্চার কৌশল এবং কঠোর পরিশ্রম প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছে।
3
10
এই বয়সেও আর্নল্ড নিয়মিত ব্যায়াম করেন। সুষম খাদ্যাভ্যাসের উপর জোর দেন। তিনি মনে করেন, ফিটনেস শুধু শারীরিক নয়, মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও জরুরি।
4
10
আর্নল্ড শোয়ার্জেনেগার বিভিন্ন ফিটনেস সম্পর্কিত প্রচারের সঙ্গেও যুক্ত। প্রতি বছর “আর্নল্ড স্পোর্টস ফেস্টিভাল” নামে একটি ক্রীড়া ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়, যা তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
5
10
এখনও নিয়মিত বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ফিটনেস সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করেন আর্নল্ড। সম্প্রতি তিনি ‘ইউ উইল বি ব্যাক’ নামে একটি প্রচার অভিযান শুরু করেছেন
6
10
এই প্রচারাভিযানে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে এমন ব্যক্তিদের যাঁরা বয়সের ভারে ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারেন না। বিশেষ করে যাঁরা হাঁটু, নিতম্বের হাড়, কাঁধ, কোমর কিংবা অন্যান্য অস্থিসন্ধির সমস্যায় ভুগছেন তাঁদের প্রতি আলাদা মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে।
7
10
সেখানেই আর্নল্ড বলেন, “সময় থাকতে অস্থিসন্ধির সমস্যা নিয়ে গুরুত্ব দিয়ে ভাবা দরকার, সে হাঁটু, কোমর বা নিতম্বের হাড় যেটাই হোক। কারণ চলাফেরা কমে গেলে জীবনের সার্বিক মান খুবই খারাপ হয়ে যায়।”
8
10
নিজের স্বাস্থ্য নিয়েও মুখ খোলেন আর্নল্ড। বলেন, “আমি জানি বিষয়টা খুবই ভয়ের। আমার নিজেরও বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা হয়েছে। কাঁধে অস্ত্রোপচার হয়েছে, হিপ রিপ্লেসমেন্ট হয়েছে। এমনকী হৃদযন্ত্রের অস্ত্রোপচারও হয়েছে। কিন্তু এই নিয়ে খোলাখুলি কথা বলা জরুরি। যন্ত্রণার কাছে আত্মসমর্পণ করা উচিত নয়।”
9
10
বয়স্ক মানুষদের প্রতি তাঁর বার্তা, “রেস্ট মানেই রাস্ট।” অর্থাৎ হাঁটাচলা না করলেই মরচে পড়বে শরীরে। আর্নল্ড জানান, তাঁর হাঁটুর সমস্যা নিরাময়ের জন্য বেশ কিছুদিন নাচ করা শিখেছেন। এখন বয়সের চাপে নাচ বন্ধ থাকলেও নাতি নাতনিদের সঙ্গে সবসময় খেলাধুলা করেন তিনি।
10
10
তাঁর বয়সি অন্যান্য মানুষদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, “নড়াচড়া বন্ধ করে ফেললে অস্টিওআর্থ্রাইটিসের আশঙ্কা বেড়ে যাবে। তার চেয়ে বরং নিয়মিত চলাফেরা করুন আর নিয়ম করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তাহলেই সুস্থ থাকা সম্ভব।”