বিশ্বখ্যাত ডব্লিউ ডব্লিউ ই (WWE)-র আইকনিক সুপারস্টার হাল্ক হোগ্যান প্রয়াত। তাঁকে নিয়ে যেমন বহু রঙিন স্মৃতি, তেমনই রয়েছে বহু বিতর্ক! তবে এবার, মৃত্যুর পর নতুন করে আলোড়ন ফেলল এক বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি। হাল্ক হোগানের জামাই স্টিভ ওলেস্কি সামনে আনলেন এমন সব তথ্য, যা বদলে দিল হাল্ক ও তাঁর মেয়ে ব্রুক হোগ্যানের সম্পর্কের চেহারা।

বাবার সঙ্গে ব্রুকের ‘স্পিরিচুয়াল’ সম্পর্কের আড়ালে চাপা ছিল তীব্র বিষাদ! হাল্ক হোগ্যানের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে ব্রুক নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন—তাঁদের বন্ধন আত্মিক, যা সব তিক্ততাকেও ছাপিয়ে গেছে। অথচ সেই 'আধ্যাত্মিক' সম্পর্কের তলায় ছিল অপমান, বিষাদ, ক্ষোভ—যা সামনে আনলেন স্বামী স্টিভ। তাঁর দাবি, “হাল্ক হোগ্যানের টাকা এসেছিল এমন এক মূল্যে, যার সঙ্গে জড়িয়ে আমার স্ত্রীর সম্মান। তাই ব্রুক সিদ্ধান্ত নেয়, বাবার কোনও টাকাই সে নেবে না।”

হাল্ক হোগ্যানের সেই ভাইরাল সেক্স-টেপের নেপথ্যে কী ছিল? প্রয়াত কুস্তিগির তথা হলি-অভিনেতার জামাই পরোক্ষভাবে ইঙ্গিত দেন, হাল্ক হোগ্যানের বিতর্কিত সেক্স টেপ নিয়ে। যেখানে দেখা গিয়েছিল, তিনি নিজের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধুর স্ত্রী হিদার কোলের সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত। এই ভিডিওতেই শোনা যায় হাল্কের বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্য। এই অডিওতে হাল্ক নিজেকে ‘বর্ণবিদ্বেষী’ বলেও মন্তব্য করেন। অবিশ্বাস্য হলেও, এই ঘৃণাজনক মন্তব্যের নিশানা ছিল ব্রুকের প্রাক্তন প্রেমিক এবং পরোক্ষভাবে ব্রুক নিজেও!

স্টিভের কথায়, “এই ধনসম্পদ রিং-এর সাফল্যের প্রতীক নয়। এগুলো এসেছে মেয়ের অতীত সম্পর্ক নিয়ে অপমানজনক মন্তব্য থেকে। ওই ব্যথা শুধু ব্রুক নয়, আরও অনেক পরিবারকেও ছুঁয়ে গেছে।”
অথচ মেয়েকে রাখা হয়েছিল সম্পূর্ণ অন্ধকারে! এরপর সত্যি জানতে পেরে পিছিয়ে এসেছেন ব্রুক। সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য—ব্রুক জানতেনই না সেই মন্তব্যের টার্গেট ছিলেন তিনি।“ব্রুক জানত না যে, ওই মন্তব্য সেক্স টেপের অংশ। জানত না যে, বর্ণবিদ্বেষমূলক কথাগুলো তাঁর ও তাঁর এক্সকে কেন্দ্র করেই বলা হয়েছিল। ওকে ইচ্ছাকৃতভাবে দূরে রাখা হয়েছিল ট্রান্সক্রিপ্ট থেকে,”—জানান স্টিভ।এমনকী, হাল্কের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো না থাকলেও, ব্রুক নিজের সন্তানের নাম রেখেছেন বাবার নামে। অর্থাৎ ভালবাসা ছিল, কিন্তু যখন সত্যি সামনে আসে, ভেঙে পড়েন মেয়েটি।
হাল্ক হোগ্যানের জীবন যেমন রিং-এর ভিতরে উত্তাল ছিল, বাইরে ছিল আরও রঙিন এবং বিতর্কিত। সেই টেপের জন্য তিনি গওকার নামে ওয়েবসাইটকে প্রাইভেসি লঙ্ঘনের দায়ে ৩১ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণে জিতে যান, যা ওয়েবসাইটটিকে দেউলিয়া করে দেয়। কিন্তু স্টিভের বক্তব্য - “আসল ভুক্তভোগীরা—যাঁরা অপমানিত, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন—তাঁরা একটাকাও পাননি, কোনও ক্ষমাও পাননি।”
