চারবোন আর মিষ্টি প্রেম! দাদার দায়িত্ব না নিজের ভালবাসা? কোনটা বেশি প্রাধান্য পাবে সোমের কাছে? পার্বতীকে কি মনের কথা বলতে পারবে সে? নাকি অকালেই হাতছাড়া হবে তার ছোটবেলার ভালবাসা? জানতে আজকাল ডট ইন পৌঁছে গিয়েছিল ইন্দ্রপুরী স্টুডিওতে, জি বাংলার ধারাবাহিক 'দাদামণি'র শুটিং ফ্লোরে।

 

দাদামণির যত্ন

শুটিং ফ্লোরে ঢুকতেই টাটা করে বেড়িয়ে যাচ্ছে চারবোন! তাঁদের নাকি একসঙ্গে প্যাকআপ হয়ে গিয়েছে। তাই মনের আনন্দে একটু শপিং করে বাড়ি ফিরবে তাঁরা। দাদার চারবোনের তো ছুটি। কিন্তু দাদা কই? তখন সবে লাঞ্চ ব্রেক শেষ হয়েছে। যথারীতি নিজের মেকআপ রুমে বসে স্ক্রিপ্ট ঝালিয়ে নিচ্ছেন 'দাদামণি' ওরফে অভিনেতা প্রতীক সেন। সাদা পাজামা-পাঞ্জাবিতে যেন আরও শান্ত দেখাচ্ছে নায়ককে। এমনই স্মিত ভাষী প্রতীক। দেখা হতেই নিজেই চেয়ার টেনে বসার জায়গা করে অভ্যর্থনা জানালেন। প্রচন্ড গরমে নাজেহাল দশা দেখে এগিয়ে দিলেন টিস্যু পেপার। এসির পাওয়ার কমিয়ে দিতে বললেন ফ্লোর ম্যানেজারকে। বেশ দারুণ আয়োজন শুরুতেই। প্রতীককে দেখে তো বেশ রাগী মনে হয়, তাই কি? জোরে হেসে উঠলেন নায়ক। তাঁর কথায়, "আপনার কি মনে হয়? আসলে পর্দা আর বাস্তবের মাঝে যে রেখাটা আছে, সেটা অনেকের কাছেই মাঝেমধ্যে অদৃশ্য হয়ে যায়। তাই নানারকম মন গড়া কথা ভেসে আসে।" প্রতীকের কথা শেষ হতে না হতেই ঘরে ঢুকলেন অনুষ্কা চক্রবর্তী। পর্দায় দর্শক তাঁকে 'পার্বতী' হিসেবে দেখছেন।


পার্বতীর প্ল্যান

 

আরও পড়ুন: সিংহ রায় বাড়িতে পা দিতেই সব মনে পড়ে গেল 'অপর্ণা'র? এবার কোন প্রতিশোধ নিতে 'আর্য'র উপর হামলা করবে সে?

অনুষ্কার চোখে 'দাদামণি' কেমন? প্রতীকের দিকে আড়চোখে তাকিয়ে নায়িকার জবাব, "দাদামণি একজন সৎ মানুষ। খানিকটা শিবের মতো। নামটাও তো সোম! এক্ষেত্রে প্রতীকদার কথা বলতেই হবে, এই চরিত্রটা এত সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছে যে খুঁত খুঁজে পাওয়া মুশকিল।" দাদার দায়িত্বে কি নাজেহাল প্রতীক? ঝটতি জবাবে প্রতীক বলেন, "না,না একেবারেই না। চারবোন খুবই বুঝদার। ওদের সঙ্গে সিন না থাকলেও সময় কাটাতে খুব ভাললাগে। এর আগে যে চরিত্রেই অভিনয় করেছি, সব চরিত্রেই কোনও না কোনও দায়িত্ব ছিল। এবার দায়িত্বটা যদিও একটু অন্যরকম, বলা ভাল আরও স্পষ্ট, তাই নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি।" ননদদের সঙ্গে ভাব হল? অনুষ্কা মুচকি হেসে বলেন, "হ্যাঁ, ননদরা বেশ ভালই। তবে আমার নজর ছোটটার দিকে। কারণ, বাকিগুলো তো সব বিয়ে করে চলে যাবে। ছোটটা অনেকদিন থাকবে আমাদের সঙ্গে। তাই ওকে হাত করার চেষ্টা করছি।" অনুষ্কার কথা শুনে চোখ বড়বড় করে তাকিয়ে থাকেন প্রতীক। একটু থেমে বলেন, "কী সাংঘাতিক! আমার পাশে বসে এসব প্ল্যান করছে। এই বিয়ে ক্যানসেল।" জোরে হেসে ওঠেন অনুষ্কা। 


এত হাসাহাসির চোটে ছুটে এলেন ফ্লোর ম্যানেজার। ধমক নয়, তিনিও হাসতে হাসতে বললেন, "একটু আস্তে হাসো। ডিরেক্টর শট রেডি করছেন। এখনই নয়তো আমায় বকবেন।" ফ্লোর ম্যানেজারের কাচুমাচু মুখ দেখে আড্ডা থামিয়ে অগত্যা ফ্লোরের দিকে রওনা দিতে হল।