শেষ হয়েও হইল না শেষ!
শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় এবং প্রাক্তন রোশন সিংয়ের আখ্যান যেন সেই ছোটগল্পের মতোই। বিচ্ছেদ হয়েছে সদ্য। আলাদা হয়েও ছিন্ন হল সুতো। একটি তারিখ মিলিয়ে দিল তাঁদের। সারা জীবনই বোধ হয় এই বিনিসুতোর মালায় গেঁথে থাকবেন তাঁরা। ১৩ আগস্ট শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিন। নায়িকার প্রাক্তন স্বামী রোশন সিংয়ের জন্মদিনও সেই একই দিনে।
২০১৯ সালে ভালবেসে বিয়ে করেছিলেন রোশন-শ্রাবন্তী। সেই বছর ধুমধাম করে একসঙ্গে জন্মদিল পালন করেছিলেন তাঁরা। নায়িকার ফ্যানক্লাবও আয়োজনের কমতি রাখেনি। অনুরাগীদের মাঝে হাতে হাত রেখে কেক কেটেছিলেন দু’জন। উদযাপনে মেতে উঠেছিলেন তারকা-দম্পতি। শ্রাবন্তীকে আংটি এবং সোনার চেন উপহার দিয়েছিলেন রোশন। প্রাক্তন স্বামীকে ভালবেসে ঘড়ি উপহার দিয়েছিলেন নায়িকা। তার পর অনেকটা সময় পেরিয়েছে। বিচ্ছেদের পথে হেঁটেছেন তাঁরা। তবু এই একটি দিনই যেন বারবার মিলিয়ে দেয় তাঁদের।
সদ্য বিয়ে করেছেন রোশন। অতীতের ক্ষত এখন অতীত। স্ত্রী অনামিকা সিং বিশেষ দিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তাঁকে। তাঁদের সিঁদুরদানের একটি ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘শুভ জন্মদিন বর’। বিশেষ দিনটি যে নববধূর সঙ্গেই তিনি কাটাবেন, তা বুঝে নিতে অসুবিধা হয় না।
রোশনের জীবনে নতুন বসন্ত আসার আভাস পাওয়া গিয়েছিল আগেই। তবে সেই সময় আদালতে শ্রাবন্তীর সঙ্গে বিচ্ছেদের মামলা চলায় প্রেম নিয়ে মুলতে নারাজ ছিলেন তিনি। চুপিসারেই মনের মানুষের সঙ্গে এগোচ্ছিলেন স্বপ্নপূরণের পথে। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে আইনি ভাবে বিচ্ছেদ হয় রোশন-শ্রাবন্তীর। প্রায় চার বছর মামলা চলার পর অবশেষে আলাদা হন তাঁরা। শ্রাবন্তী এখনও ‘একা’ থাকলেও সঙ্গী খুঁজে পেলেন রোশন।
অন্য দিকে, শ্রাবন্তীর জন্মদিনও ঘটনাবহুল। ইতিমধ্যেই ফ্যানক্লাবের অনুরাগীদের সঙ্গে কেক কেটে উদযাপন সারা। সবচেয়ে বড় উপহারটি পাওয়া এখনও বাকি। এদিনই মুক্তি পাবে শুভ্রজিৎ মিত্র পরিচালিত দেবী চৌধুরানীর টিজার। নামভূমিকায় বার্থ ডে গার্ল।
পরিচালক শুভ্রজিত জন্মদিনে শ্রাবন্তীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে লেখেন, ‘আজ তোমার জন্মদিনে নিয়ে আসছি দেবী চৌধুরানীর টিজার। বিজয়ী হও।’
বক্স অফিসে একের পর এক হিট দিয়ে প্রথম সারির নায়িকাদের তালিকায় শামিল করেন নিজের নাম। বাণিজ্যিকের পাশাপাশি বিষয়ভিত্তিক ছবিতেও নিজের অভিনয় দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন নায়িকা। কিন্তু ‘দেবী চৌধুরানী’তে তিনি যা করেছেন, দর্শক আগে তা চাক্ষুষ করেনি বলেই মনে করেন শুভ্রজিৎ। তাঁর কথায়, “শ্রাবন্তী কতটা ভাল অভিনয় করে, তা এতদিনে আমরা সকলেই দেখেছি। সব ধরনের ছবিতেই ও খুব সাবলীল। কিন্তু দেবী চৌধুরানীর জন্য ও নিজেকে পুরোপুরি ভেঙে আবার তৈরি করেছে। ও এই ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার পেলে আমার থেকে বেশি খুশি কেউ হবে না।”
