নিজস্ব সংবাদদাতা: ভেষজ জিনিস তৈরি করবে কথা। তাই দারুণ খুশি সে। কিন্তু গুহ বাড়ির বউ হয়ে কি নিজের ব্যবসা শুরু করতে পারবে সে? জানতে আজকাল ডট ইন পৌঁছে গিয়েছিল চিত্রায়ন স্টুডিওতে, স্টার জলসার ধারাবাহিক 'কথা'র শুটিং ফ্লোরে।
খুনসুটিতে সাহেব-সুস্মিতা
দুপুরের খাবার খেয়ে সবে একটু চোখ জুড়িয়ে এসেছিল পর্দার 'এভি' ওরফে সাহেব ভট্টাচার্যের। কিন্তু তখনই পরবর্তী দৃশ্যের জন্য তৈরি হতে হবে। তাড়া দিয়ে গেলেন ফ্লোর ম্যানেজার। তাই মুখটা একটু ভার করেই নিচে নামলেন সাহেব। এসে যদিও 'কথা'র খিলখিল হাসিতে তাঁর মুখেও হাসি ফুটে উঠল। অনস্ক্রিন হোক বা অফস্ক্রিন, 'কথা' ওরফে সুস্মিতা দেকে সবসময় হাসিখুশি দেখা যায়। রেগে গেলে কী করেন সুস্মিতা? প্রশ্ন শুনেই মুখে হাত চাপা দিলেন সুস্মিতা। সাহেবের চটপট জবাব, "ও চুপচাপ থাকে। রেগে গেলে যারা চুপ হয়ে যায়, তাঁদের থেকে ভয়ঙ্কর কিছু নেই। এবার বুঝে নিন বাকিটা।" সাহেবের হাতে চিমটি কেটে সুস্মিতা বলেন, "একদম না। আমি খুব শান্ত, রেগে যাই না। সবসময় আমাকে বাজে মেয়ে প্রমাণ করে।" আস্তে করে সাহেব বলেন, "প্রমাণ করার কিছুই নেই যদিও।" এই জবাবের পুরস্কার হিসাবে সুস্মিতার থেকে আরও কয়েক ঘা জুটলো সাহেবের।
টিকে থাকার লড়াই
ধারাবাহিকের গল্প মানেই শাশুড়ি-বউমার লড়াই। এখানে একেবারে উল্টো। সুস্মিতার বাস্তবে কেমন শাশুড়ি চাই? একটু চুপ করে থেকে নায়িকার জবাব, "শাশুড়ি শব্দটাই বেশ জটিল। তবে 'কথা'র শাশুড়ির মতো যদি হয়, তাহলে তো খুব ভাল।" সাহেবের কথায়, "পরিবারে একজন একটু গণ্ডগোল না পাকালে ঠিক জমে না। আমাদের এখানে যেমন 'কথা'। সবসময় কিছু না কিছু করছেই। এটাই মনে হয় দর্শকের পছন্দের জায়গা। এখন টিআরপির ওঠাপড়ায় অনেক মন্তব্য ভেসে আসছে। কিন্তু আমার মনে হয়, লড়াই করে টিকে থাকতে হলে একটু ওঠাপড়ার প্রয়োজন আছে। নয়তো তাগিদটা নষ্ট হয়ে যায়।"
এর মধ্যেই লাইট জ্বলে উঠল ফ্লোরে। এবার শুরু হাঁক ডাক। দৌড়ে ফ্লোরে ঢুকলেন সাহেব-সুস্মিতা। কিন্তু স্ক্রিপ্টটা যে পাঁচিলে পড়ে রইল! একটু পড়ে ছুটতে ছুটতে এলেন সাহেব, স্ক্রিপ্ট নিয়ে যাওয়ার সময় ঝটতি জবাব, "এভাবেই নায়িকা খাটায় আমায়,বিনা শর্তে!"
