নিজস্ব সংবাদদাতা: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এ আই এখন গ্রাস করেছে প্রতিটি মাধ্যমকে। মানুষের চাহিদা মেটাতে সব ক্ষেত্রে এগিয়ে আসছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। দৈনন্দিন সব কাজেই আজকাল এ আই নির্ভরশীল মানুষ। ফ্যাশন শো থেকে বিজ্ঞাপনে এ আই মডেলের গুরুত্ব বাড়ছে। এদিকে, অভিনয়েও পড়ছে এর প্রভাব।
ইতিমধ্যেই, জি টিভি-তে চলছে 'হামারা পরিবার' নামে একটি হিন্দি ধারাবাহিক। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে সঙ্গী করে এগিয়ে চলছে এই মেগা। কিন্তু কীভাবে শুটিং হয় এই ধরনের শোয়ের? আজকাল ডট ইন-কে জানালেন 'জিন্দাবাদ স্টুডিও'র অন্যতম কর্ণধার শতরূপা দাস। তাঁর কথায়, "এই শোয়ের ক্ষেত্রে শুটিং অন্যভাবে হয়। ঘন্টার পর ঘন্টা সময় ধরে লাইট, ক্যামেরা নিয়ে কাজ হয় না সেভাবে। অভিনেতাদের তৎক্ষণাৎ অভিব্যক্তি বদলাতে হয় না। টানটান অ্যাকশন দৃশ্যও সেভাবে করতে হয় না। কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ করে এই কাজগুলো করা হয়। এছাড়াও বাংলার বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বদের তুলে ধরা হয়েছে আমাদের কাজে।"
এতে অভিনয় দক্ষতা প্রমাণ হবে কী করে? শতরূপার জবাব, "অভিনেতাদের অনেক ক্ষেত্রে সুবিধাও হচ্ছে। অভিনেতাদের মাপকাঠি হয় না। তাই যে নায়ক বা নায়িকার অভিনয় দক্ষতা রয়েছে তাঁদের সেটা থাকবেই। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সেটা কেড়ে নিতে পারবে না। বলিউডে এই শোটি যথেষ্ট জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তাই আশা করি, মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে খুব বেশি সময় লাগবে না।"
তিনি আরও বলেন, "হিন্দি শোয়ে কাজ করার পর এবার ইচ্ছে আছে বাংলায় কিছু করার। বাঙালি হয়ে যদি বাংলায় কিছু না করতে পারি, তাহলে কাজের কোনও মানে থাকবে না। কিছুদিনের মধ্যেই কলকাতায় আসার পরিকল্পনা রয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে খুব তাড়াতাড়ি বাংলায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপরে কাজ করব।"
