সংবাদ সংস্থা মুম্বই: “পাঁজরের হাড় ভেঙে গিয়েছে। মুখে তীব্র স্নায়ুর যন্ত্রণা। মস্তিষ্কে রক্তনালি ফুলে যাওয়ার সমস্যা। কিন্তু তাও আমি কাজ করে চলেছি!” — এই প্রথমবার চমকে দেওয়া এই স্বীকারোক্তি সলমন খানের মুখে! ‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কাপিল শো’-র মঞ্চে হাজির হয়ে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন সলমন। বয়স ৫৯, শরীরে বাসা বেঁধেছে একাধিক প্রাণঘাতী রোগ। কিন্তু তবু থেমে নেই তিনি। কারণ, তিনি যে ‘টাইগার’।
শো-এ যখন সঞ্চালক কপিল শর্মা যখন তাঁর বিয়ের প্রসঙ্গ তোলেন, তখন হাসিমুখেই ভয়ঙ্কর বাস্তবটা সামনে আনেন সলমন –“এই বয়সে নতুন করে কিছু শুরু করার ক্ষমতা নেই। এখন যদি বিয়ে করি আর স্ত্রী অর্ধেক সম্পত্তি নিয়ে চলে যান, তখন তো আবার গোড়ার থেকে শুরু করতে হবে।” তারপরই হালকা গলায়, কিন্তু রীতিমতো বোমা ফাটিয়ে বলেন, “প্রতিদিন হাড় ভাঙছে, পাঁজর ভেঙেছে, তবু কাজ করছি। ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়া আছে, ব্রেনে অ্যানিউরিজম আছে, তাও কাজ করে যাচ্ছি। এমনকি এভি ম্যালফরমেশনও আছে!”
কী কী ভয়ঙ্কর রোগের বিরুদ্ধে লড়ছেন সলমন খান?
ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়া: মুখের স্নায়ুতে তীব্র ব্যথা, যা এতটাই ভয়ানক হয় যে, একে ‘সুইসাইড ডিজিজ’ বলেও ডাকা হয়।
ব্রেন অ্যানিউরিজম: মস্তিষ্কের রক্তনালির দেয়াল ফুলে উঠে ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে—ফাটলে হতে পারে প্রাণঘাতী স্ট্রোক।
এভি ম্যালফরমেশন (AVM): জন্মগত রক্তনালির জটিল গঠন, যা আচমকাই রক্তক্ষরণ বা স্নায়বিক সমস্যা তৈরি করতে পারে।
সলমন বলেন, “যদি সবকিছু ভাগ করে নিয়ে যায়… সেটা যদি যৌবনে হত, ফের কামিয়ে নিতাম। কিন্তু এখন? এই বয়সে সব শুরু করা সহজ নয়।” এর আগে ২০১৭ সালে দুবাইয়ে ‘টিউবলাইট’ ছবির প্রচারে নিজের ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়ার কথা জানিয়েছিলেন সলমন খান। তবে এবার প্রথমবার এত খোলাখুলি নিজের শারীরিক যুদ্ধের কথা বললেন সকলের সামনে।
