নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ২০০৩ সালে বড়পর্দায় হইচই করে মুক্তি পেয়েছিল 'চোখের বালি'। ঋতুপর্ণ ঘোষের পরিচালনায় সেই প্রথম বাংলা ছবিতে অভিনয় করেছিলেন বলি-অভিনেত্রী ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন। ছবিতে মুখ্যভূমিকায় দেখা গিয়েছিল প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে ছিলেন টোটা রায়চৌধুরীও। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত উপন্যাস 'চোখের বালি'র অনুসরণে তৈরি এই ছবিতে নজর কেড়েছিল প্রসেনজিৎ-ঐশ্বর্যার রসায়ন। তবে জানেন কি ছবিতে ঐশ্বর্যর অভিনয় করার কথাই ছিল না! ‘বিনোদিনী’র চরিত্রে আরেক অভিনেত্রীর কথা ভেবেছিলেন পরিচালক। 

রবীন্দ্রনাথের বহু উপন্যাস বারবার উঠে এসেছে পর্দায়। তবে সেসবের মাঝে 'চোখের বালি' আজও দর্শক মনে বিশেষ জায়গা দখল করে রয়েছে। যে কোনও ছবির আগে অনেকটা সময় সেই ছবির বিষয়বস্তু নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতেন ঋতুপর্ণ। চোখের বালির ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয়নি। 

'আর্থ', 'বিফোর দ্য রেইনস', 'পিতা', 'ফায়ার', 'মান্টো' ছবিগুলোর কথা মনে পড়ে? এইসব ছবিতে যিনি নজর কেড়েছিলেন, তিনি আর কেউ নন অভিনেত্রী নন্দিতা দাস। বলিউডে প্রায় কয়েক যুগ রাজত্ব করেছেন। শুধু অভিনয় নয়, পরিচালনাতেও দেখিয়েছেন মুন্সিয়ানা। ঋতুপর্ণ ঘোষের ‘শুভ মহরৎ’ ছবিতে সাংবাদিকের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল তাঁকে। সেই  অভিনেত্রীকেই প্রাথমিকভাবে 'বিনোদিনী'র চরিত্রে ভাবা হয়েছিল। 

শোনা যায়, ছবিটি নিয়ে যখন বিস্তর আলোচনা চলছে, তখন ঋতুপর্ণ ঘোষ জানিয়েছিলেন, নন্দিতা দাসই হবে 'বিনোদিনী'। চরিত্রের পোশাকের জন্য নাকি নন্দিতার মাপও নেওয়া হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ঐশ্বর্যকেই বেছে নিন পরিচালক। এই ছবিই ছিল বচ্চন বধূর বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে প্রথম কাজ। বলা বাহুল্য, একেবারে অন্য রকম রূপে তাঁকে পেয়েছিল দর্শক। পরনে আটপৌরে স্টাইলে সাদা থান ৷ ব্লাউজ নেই ৷ কোমর অবধি এক মাথা চুল ৷ রাইসুন্দরীর ‘বিনোদিনী’ লুক সামনে আসতেই হইচই পড়ে যায়।