চলতি বছর সমাজমাধ্যমে বিচ্ছেদের ঘোষণা করেছিলেন অভিনেতা সুদীপ মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী পৃথা চক্রবর্তী। তারপর থেকে নানা জলঘোলা হয়েছে দু'জনের বিচ্ছেদ নিয়ে। মাঝে যদিও একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল সুদীপ-পৃথাকে। সেই সময় শোনা গিয়েছিল, দু'জনের দূরত্ব নাকি মিটে গিয়েছে। তবে এরপরেও কটাক্ষ থামেনি। বিজয়ায় দেবী বরণ করে নিজের সিঁদুর মাখা ছবি সমাজমাধ্যমে ভাগ করতেই তুমুল কটাক্ষ ধেয়ে এল পৃথার দিকে।
তবে বরাবরের মতো কটাক্ষের জবাব দিয়েছেন তিনি। মোটেই চুপ থাকেননি। সমাজমাধ্যমে কটাক্ষের পাল্টা জবাবে পৃথা লেখেন, 'একটি ব্যঙ্গাত্মক মুখভঙ্গি করে ছবি দিয়েছি, সিঁদুর মেখে, কারণ মাকে বরণ করতে গিয়েছিলাম। আচ্ছা, তারপর কিছু মানুষের মনে প্রশ্ন এল—আমার তো ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে, আমি কেন সিঁদুর, শাখা, পলা পরেছি? কারণ, প্রথমত এটাই আমার ইচ্ছে।"
পৃথা লেখেন,'দ্বিতীয়ত, আমার ডিভোর্স হয়েছে। এবং তৃতীয়ত, কথায় আছে বরণ করা মানে মঙ্গল চাওয়া। তাই, আমি যদি বালি ও ঋদ্ধির বাবার মঙ্গল চাই! আর আসল কারণ যদি সত্যি জানা থাকে না কেন সিঁদুর, কেন নোয়া বাঁধন, কেন শাখা, পলা পরা হয়, তাহলে একটা কথা বলব—কারওর আর তখন ইচ্ছেই করবে না এই সব পরতে। এবং শেষ কথা হল, আমরা এখনও বালি ও ঋদ্ধির বাবা আর মা, আর সেটা চিরকালের জন্য। সে আমি আবার বিয়ে করি, কী না করি... প্রতি বছর আমি মায়ের বরণ করবই আর শাখা, পলা, সিঁদুর, নোয়া সব পরব...।'

তিনি আরও লেখেন, 'বিশ্বাস করুন, আমার খুব ভাল লাগে এই সব মন্তব্যগুলো পড়তে, কারণ এর মধ্যে অনেকেই আছেন যাঁরা আবার রাস্তায় দেখা হলে সেলফি তুলতে আসেন...তাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং 'ট্রোল' করতে থাকুন—আমারই ফলোয়ার্স বাড়ছে... আর হ্যাঁ, আস্তে আস্তে ট্রোল করুন, এত তাড়াহুড়ো কিসের ভাই...।'
অর্থাৎ এই পোস্টের মাধ্যমে পৃথা বুঝিয়ে দিয়েছেন, বিচ্ছেদের পথে হাঁটলেও সুদীপের জন্য মঙ্গল কামনায় পিছপা হননি তিনি। দুই ছেলের জন্যই বাঁচিয়ে রেখেছেন নিজেদের সম্পর্ক। নিজেদের সম্পর্কের তিক্ততার আঁচ যেন সন্তানদের উপর না পড়ে, তাই এখনও বিশেষ অনুষ্ঠানে, বা বিশেষ দিনে একসঙ্গে সময় কাটান তাঁরা। বিয়ে ভাঙলেও দু'জনের সম্পর্ক যে এখনও মজবুত, তা আরও একবার প্রমাণ করে দিলেন সুদীপ-পৃথা।
