সংবাদ সংস্থা, মুম্বই: কেরিয়ারের টালমাটালের মাঝেই সম্পর্কের টানাপোড়েনে শিরোনামে উঠে এসেছিলেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। শেষমেশ গত জুলাইয়ে সম্পর্কে ইতি টানেন হার্দিক পাণ্ডিয়া এবং নাতাশা স্ট্যানকোভিচ। তবে বিচ্ছেদের পরও হার্দিককে ভুলতে পারছেন না নাতাশা! ভারতীয় ক্রিকেটারকে নিজের পরিবারের অংশ মনে করেন তিনি, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন।
হার্দিকের সংসার ছাড়ার পরই ছেলে অগস্ত্যকে নিয়ে সার্বিয়া চলে যান নাতাশা।অনেকেই ভেবেছিলেন, বলিউড অভিনেত্রী হয়েতো ছেলেকে নিয়ে সার্বিয়াতেই থাকবেন। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যে ভারতে ফেরেন তিনি। ইতিমধ্যে একটি মিউজিক ভিডিওর কাজও করেছেন। ছেলে অগস্ত্যকে হার্দিকের সঙ্গেই মানুষ করতে চান নাতাশা। এই প্রসঙ্গেই সাক্ষাৎকারে নায়িকা জানান যে , তিনি এদেশেই থাকবেন। কারণ ছেলে অগস্ত্যর স্কুল এখানে। সন্তানের জন্য হার্দিক ও তিনি একই পরিবারের অংশ।
হার্দিককে বিয়ের পর অভিনয় থেকে খানিকটা দূরে চলে গিয়েছিলেন নাতাশা। যা নিয়ে আক্ষেপও রয়েছে তাঁর। তবে ফের কাজ শুরু করেছেন তিনি। নাতাশার সার্বিয়ার না যাওয়ার আরও একটি কারণ, তাঁর বলিউড কেরিয়ারও। তাঁর কথায়, “আমি যে পেশা বেছে নিয়েছি, সেখানে প্রচারের আলো এড়িয়ে চলা যায় না।”
কেন এই ‘পাওয়ার কাপল’-এর সম্পর্ক টিকল না তা নিয়ে কৌতূহল প্রকাশ করে এসেছেন নেটাগরিকরা। কিন্তু স্পষ্টভাবে কখনওই কিছু জানা যায়নি। এক ঘনিষ্ঠ সংবাদমাধ্যমকে নাতাশ জানিয়েছেন, হার্দিক খুবই আত্মকেন্দ্রিক মানুষ। নিজের কথা ছাড়া তিনি নাকি আর কিছুই ভাবতে পারেন না। এই নিয়ে দীর্ঘদিন যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে গেছেন নাতাশা। বহু বার তিনি নাকি সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শেষে আর পারেননি।
ইনস্টাগ্রাম থেকে ‘পাণ্ডিয়া’ পদবি সরিয়ে দেন নাতাশা। হার্দিক এবং নাতাশা ইনস্টাগ্রাম থেকে তাঁদের বিয়ের ছবি আগেই সরিয়ে দিয়েছিলেন। তবে ছেলে অগস্ত্যের সঙ্গে ছবি ছিল। তখনই জল্পনা তৈরি হয়েছিল হার্দিকদের বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে। শেষে বিয়ের চার বছরের মাথায় গত ১৮ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহবিচ্ছেদ ঘোষণা করেন হার্দিক ও নাতাশা। তবে ছেলে অগস্ত্যকে একসঙ্গে বড় করবেন, এমনটা জানান তাঁরা।
