শেষ হল সাড়ে তিন বছরের পথ চলা। ১১ ডিসেম্বর শেষবারের মতো শুটিং ফ্লোরে এসেছিল 'জগদ্ধাত্রী' ধারাবাহিকের অভিনেতা, অভিনেত্রী এবং কলাকুশলীরা। এদিন কেক কেটে বিদায় জানান তাঁরা পছন্দের ধারাবাহিককে। কান্নায় ভেঙে পড়েন অঙ্কিতা মল্লিক, সৌম্যদীপ মুখোপাধ্যায়রা।
'জগদ্ধাত্রী' ধারাবাহিকের শুটিংয়ের শেষে অঙ্কিতা মল্লিক আজকাল ডট ইন-কে বলেন, ''আজকে প্যাক আপের পর সবার খুব কষ্ট হচ্ছে। যারা সবসময় হাসে, তারাও..." কথা বলতে গিয়ে গলা বুজে আসে অভিনেত্রীর। নিজেকে সামলে নিয়ে বলেন, "প্রত্যেকটা মানুষের কষ্ট হচ্ছে। আমরা এতদিন একসঙ্গে কাজ করেছি, সবার অনেক স্মৃতি, অনেক ভালবাসা, অনেক কিছু।"
শেষ দিনে মন খারাপ সৌম্যদীপ মুখোপাধ্যায় ওরফে স্বয়ম্ভুরও। তিনি এদিন বলেন, "স্যারকে ধন্যবাদ। জি বাংলাকে ধন্যবাদ। যে দর্শকরা আমাদের দেখেছেন, ভালবাসা দিয়েছেন তাঁদেরও ধন্যবাদ।"
শুটিং শেষে কেক কাটা হয়। নিজের হাতে অঙ্কিতাকে কেক খাইয়ে দেন সৌম্যদীপ। একে অন্যকে জড়িয়ে ধরেন তাঁরা। ধারাবাহিকের নামে চলে জয়ধ্বনি।
শেষ দিনে খানিকটা ভারাক্রান্ত দেখায় কৌশিকী মুখার্জি ওরফে রূপসা চক্রবর্তীকে। এই চরিত্রকে বিদায় জানানোর আগে তিনি বলেন, "কৌশিকী পারফেক্ট একটা চরিত্র। বাড়ির বড় মেয়ে, বড়দি যেমন হয় ঠিক তেমন। একটা কোম্পানিতে মাথার উপর যে আছে, তার এমনই হওয়া উচিত। সেটা আমাকে শিখিয়েছে স্নেহাশিস। ও চরিত্রায়ন করেছে, আমি সেখানে যতটা পেরেছি, ১০০ শতাংশ দেওয়ার চেষ্টা করেছি। দর্শকরা সেটা ১০০ না, ১০০০ শতাংশ গ্রহণ করেছে যে কৌশিকী মুখার্জি। রাস্তায় দেখা হলে রূপসা নয়, বড়দি বা কৌশিকী বলেই ডেকে কথা বলে, ছবি তুলতে চায়।" বাকি অভিনেতা, অভিনেত্রীরাও সমস্বরে জানান, 'কাল থেকে কেউ আর কল টাইম দেবে না', এটা ভেবে তাঁদের খারাপ লাগছে। জানান, "ফ্লোরটা মিস করব, 'জগদ্ধাত্রী'র সবাইকে মিস করব। সকাল থেকে কিছু মনে হয়নি, যত সময় এগোচ্ছে তত মন খারাপ বাড়ছে। শেষে হয়তো বাচ্চাদের মতো সবাই কেঁদে ফেলব।"
প্রসঙ্গত ২০২২ সালে পথ চলা শুরু করেছিল 'জগদ্ধাত্রী'। এক সময় লাগাতার টিআরপি টপার হতো। এমনকী এখনও সেরা ১০-এ নিজেদের জায়গা ধরে রেখেছে এই মেগা। জনপ্রিয়তা বজায় রেখেই শেষ হচ্ছে এই গল্প। চলতি রবিবার শেষবার সম্প্রচারিত হবে 'জগদ্ধাত্রী'। সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর থেকে সেই জায়গায় অর্থাৎ সন্ধে সাড়ে সাতটার স্লটে আসছে তারে ধরি ধরি মনে করি।
