সংবাদ সংস্থা মুম্বই: ২০১৬ সালে বহু বিতর্ক পেরিয়ে বড়পর্দায় মুক্তি পেয়েছিল ‘উড়তা পাঞ্জাব’।  পঞ্জাবের বাসিন্দাদের একাংশের মাদকাসক্তির সমস্যার উপর আলো ফেলেছিল অভিষেক চৌবের এই ছবি। শাহিদ কাপুরের পাশাপাশি করিনা কাপুর, আলিয়া ভাট এবং দিলজিৎ দোসাঞ্জের অভিনয়ও মাতিয়েছিল তাঁদের। বক্স অফিসে প্রায় ১০০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল ‘উড়তা পাঞ্জাব’।

 

তেজিন্দর ওরফে রকস্টার টমির ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল শাহিদ কাপুরকে। মাদকের নেশায় চুর হয়ে সে গান লেখে।রক গায়ক ধুমকিতে ‘স্টোনড’ হয়ে থাকেন। রক স্টার হিসেবে শাহিদ তাঁর রাগ, নেশার ধুমকি সব কিছু নিয়েই চমৎকার। মাদকাসক্ত এক পাঞ্জাবি  র্যাাপ তারকার ভূমিকায় নিজেকে ডুবিয়ে দিয়েছিলেন শাহিদ। চুলের ছাঁট থেকে শুরু করে শরীরী ভাষা— সবেতেই নিজেকে অন্য ছাঁচে ঢেলে ফেলেছিলেন। ছবির পরিচালক অভিষেক চৌবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানালেন ছবিতে এই চরিত্রের জন্য নিজেকে নিংড়ে নিয়েছিলেন শাহিদ। রীতিমতো কালঘাম ছুটে গিয়েছিল তাঁর। পরিচালকের কথায়, “ব্যক্তিগত জীবনে পুরোপুরি নিরামিষাশী শাহিদ। ধূমপান করেন না, যেকোনও রকম নেশার জিনিস থেকে শতহস্ত দূরে থাকেন তাই পুরোপুরি একজন মাদকাসক্তের খোলসে ঢোকা তাঁর পক্ষে মোটেই সহজ ছিল না। একেবারে সাধু প্রকৃতির মানুষ ও। তাই ছবিতে নেশাগ্রস্থ অবস্থার দৃশ্য শুটিংয়ের সময় ওঁকে প্রচুর কাপের পর কাপ ব্ল্যাক কফি খাওয়াতে বাধ্য হয়েছিলাম।” 

 

“শুধু তাই নয়, কড়া ডায়েটে ছিল শাহিদ। খাওয়াদাওয়া কমিয়ে দিয়েছিল অনেকটাই। কারণ একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তির খাবার প্রতি অত ঝোঁক থাকে না। আমিও চেয়েছিলাম শাহিদকে যেন ছিপছিপে লাগে, ওজন অনেকটাই কম লাগে।” প্রসঙ্গত, এই ছবির পরিচালক অভিষেক চৌবে এর আগে বিদ্যা বালন, নাসিরকে নিয়ে ‘ইশকিয়া’ ছবি পরিচালনা করেছিলেন।