গোবিন্দা এবং সুনীতা আহুজার বিচ্ছেদের গুঞ্জন গত কয়েক মাস ধরে শিরোনামে। সম্প্রতি এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল যে, সুনীতা আদালতে ডিভোর্সের আবেদন করেছেন। তবে এই সমস্ত বিতর্কের মাঝেই, গণেশ চতুর্থী উপলক্ষে তারকা দম্পতি একসঙ্গে জনসমক্ষে উপস্থিত হন। সেখানে গোবিন্দা মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলেন এবং দু’জনেই চলমান বিতর্কে প্রতিক্রিয়া জানান।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর শেয়ার করা এক ভিডিওতে দেখা যায়, গোবিন্দা মিডিয়ার সঙ্গে আলাপচারিতায় বলেন, “এর চেয়ে বড় কিছু হতে পারে না। ভগবান গণেশ যখন আশীর্বাদ করেন, তখন পরিবারের সমস্ত কষ্ট দূর হয় এবং দুঃখ সরে যায়। আমরা প্রার্থনা করি যেন আমরা সকলে মিলেমিশে একসঙ্গে থাকতে পারি। বিশেষ করে আমি আপনাদের কাছে আমার ছেলে ইয়াশ এবং মেয়ে টিনার জন্য শুভকামনা চাই। আপনারা যেন ওদের সাহায্য এবং সমর্থন করেন। আমি ভগবান গণেশের কাছে প্রার্থনা করি ওরা সফল হোক। আপনাদের ভালবাসা এবং আশীর্বাদ যেন ওদের নামকে আমার থেকেও উঁচুতে নিয়ে যায়। আর মানুষ যেন অবাক হয় এই ভেবে যে, গোবিন্দর সন্তানরা কোনও বাইরের সাহায্য ছাড়াই এই সাফল্য অর্জন করেছে।”
বিচ্ছেদের গুঞ্জন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সুনীতা তৎক্ষণাৎ বাধা দিয়ে বলেন,
“আপনারা কি বিতর্ক শুনতে এসেছেন নাকি গণপতি বাপ্পার দর্শনে এসেছেন? এখানে কোনও বিতর্ক নেই।”
গোবিন্দা এবং সুনীতা আহুজাকে মুম্বইয়ের বাড়িতে ‘গণপতি বাপ্পা’কে স্বাগত জানাতে দেখা যায়, যেখানে তাঁরা পাপারাজ্জিদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করেন। এই উপলক্ষে তাঁদের বাড়িতে বহু তারকাকে উপস্থিত হয়েছিলেন। ‘বিগ বস’ ১৩ খ্যাত পারাস ছাবড়া-সহ আরও অনেকেই গোভিন্দা এবং সুনীতার বাসভবনে গণপতি দর্শনে আসেন।
একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, সুনীতা বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেছেন। সেই রিপোর্টে আরও বলা হয়, আদালত ২৫ মে গোবিন্দাকে তলব করেছিল এবং জুন থেকে দু’জনের মধ্যে মীমাংসার চেষ্টা চলছে। যদিও সুনীতা নিয়মিত আদালতে হাজির হচ্ছেন, গোবিন্দার নাকি একাধিকবার অনুপস্থিত থেকেছেন।
সুনীতার প্রতিক্রিয়া
নিজের সাম্প্রতিক এক ভ্লগে সুনীতাকে এই বিচ্ছেদ-গুঞ্জন নিয়ে মুখ খুলতে দেখা যায়। তিনি একটি মন্দিরে গিয়ে পুরোহিতের সঙ্গে কথা বলতে বলতে জানান, ছোটবেলা থেকেই তিনি মহালক্ষ্মী মন্দিরে আসছেন।
চোখের জল সামলাতে না পেরে তিনি বলেন, “গোবিন্দার সঙ্গে যখন প্রথম দেখা হয়েছিল, আমি দেবীর কাছে প্রার্থনা করেছিলাম যেন আমি ওকে বিয়ে করি এবং একটি সুন্দর জীবন পাই। দেবী আমার সব ইচ্ছে পূর্ণ করেছেন—আশীর্বাদ হিসাবে আমাকে দু’টি সন্তানও দিয়েছেন। কিন্তু জীবনের সব সত্য সহজ নয়; উত্থান-পতন তো থাকবেই। তবুও দেবীর উপর আমার এত আস্থা যে আজ যা কিছু ঘটছে, আমি জানি যে যেই আমার সংসার ভাঙার চেষ্টা করুক না কেন, মা কালী আছেন।”
