বড় সিদ্ধান্ত কার্তিক আরিয়ানের! ২ কোটি খরচ করে কোন পদক্ষেপ করলেন বলিউডের হিট নায়ক, ফাঁস করলেন নিজেই
বলিউড অভিনেতা কার্তিক আরিয়ান আলিবাগের ‘শ্যাটো দ্য আলিবাগ’-এ দু’হাজার বর্গফুটের একটি জমি কিনেছেন। জমিটির মূল্য প্রায় ২ কোটি টাকা। ‘ভুলভুলাইয়া ৩’ অভিনেতা এখানে নিজের বাড়ি বানানোর পরিকল্পনা করছেন। শিগগিরই তিনি সেখানে অমিতাভ বচ্চন এবং কৃতি শ্যাননের প্রতিবেশী হতে চলেছেন।
নতুন সম্পত্তি নিয়ে কার্তিক বলেন, “আলিবাগ এখন বিনিয়োগের জন্য সবচেয়ে আকর্ষণীয় জায়গাগুলির একটি হয়ে উঠেছে। এটি মুম্বইয়ের কাছেই। এবং আমি এখানে নিজের বাড়ি বানানোর পরিকল্পনা করছি। এই প্রথম আমি জমিতে বিনিয়োগ করলাম এবং ‘দ্য হাউস অফ অভিনন্দন লোধা’র উপর পূর্ণ আস্থা রেখেই করেছি। এই বিনিয়োগ করতে পেরে আমি খুশি।”
২০২৪ সালে অমিতাভ বচ্চন আলিবাগে ১০ হাজার বর্গফুট জমি কিনেছিলেন, যার দাম প্রায় ১০ কোটি টাকা। এরপর কৃতি শ্যাননও ‘সোল দে আলিবাগ’এ দু’হাজার বর্গফুট জমি ক্রয় করেন।
আলিবাগে এরই মধ্যে অনেক তারকাদের সম্পত্তি রয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন শাহরুখ খান (দেজা ভু ফার্মস), বিরাট কোহলি এবং অনুষ্কা শর্মা (সেরিন হ্যাভেন), দীপিকা পাড়ুকোন ও রণবীর সিং, অনাইতা শ্রফ আদাজানিয়া এবং তার স্বামী হোমি আদাজানিয়া, সুহানা খান এবং রাহুল খন্না।
মুম্বাইয়ের নিকটবর্তী হওয়া, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং ছিমছাম পরিবেশ—এই সব কারণেই আলিবাগ আজ তারকাদের কাছে ছুটি কাটানোর বা বাড়ি কেনার অন্যতম প্রিয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে।
কার্তিকের হাতে এখন একের পর এক ছবি। বক্স অফিসেও তাঁর রেকর্ড দেখার মতো। তাই এমন বেশ কিছু বিলাসবহুল সম্পত্তি তাঁর ঝুলিতে এলে, অবাক হওয়ার কিছুই নেই।
অন্য দিকে, বলিউডের 'কিং খান' শাহরুখ খানের কন্যা সুহানা খান সম্প্রতি আলিবাগে জমি কেনাকে ঘিরে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। জানা গিয়েছে, গত বছর মে মাসে তিনি মহারাষ্ট্রের আলিবাগের থাল গ্রামে প্রায় ১২.৯১ কোটি টাকা দিয়ে প্রায় দেড় একর কৃষিজমি কিনেছিলেন। এই জমি কৃষকদের জন্য বরাদ্দ ছিল এবং আইন অনুযায়ী কৃষিজমি শুধু কৃষকরাই কিনতে পারেন। অথচ রেজিস্ট্রেশন নথিতে সুহানাকে কৃষক হিসেবে দেখানো হয়েছে। সেই সময় তিনি প্রায় ৭৭ লক্ষ টাকার স্ট্যাম্প ডিউটি জমা দেন।
জমিটি তিন বোন—অঞ্জলি, রেখা এবং প্রিয়ার কাছ থেকে কেনা হয়। তাঁদের বাবা-মায়ের কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে এই জমি পেয়েছিলেন তাঁরা। জমি কেনার পুরো প্রক্রিয়া 'দেজাভু ফার্ম প্রাইভেট লিমিটেড' নামের একটি সংস্থার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়, যাঁরা গৌরী খানের মায়ের আত্মীয়। এর আগে সুহানা আলিবাগেই প্রায় ১০ কোটি টাকার আরেকটি সমুদ্রতীরবর্তী সম্পত্তি কিনেছিলেন। এখন বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু হল—কীভাবে সুহানাকে কৃষক হিসেবে দেখানো হল এবং কৃষিজমি কেনার অনুমতি ছাড়াই এত বড় লেনদেন সম্পন্ন হল। স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। রেসিডেন্ট ডেপুটি কালেক্টর এবং সংশ্লিষ্ট তহসিলদারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন তাঁরা নথিপত্র যাচাই করে রিপোর্ট জমা দেন।
