সংবাদ সংস্থা মুম্বই: নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় অভিনেতা চাঙ্কি পাণ্ডে। বলিপাড়ায় রসবোধের জন্য সুপরিচিত চাঙ্কি। বলি-তারকা থেকে ভক্তকুল, সবার সঙ্গেই খোশমেজাজে দেখা যায় তাঁকে। মজার কথাবার্তা বলাতেও ‘হাউজফুল’ ছবি খ্যাত এই অভিনেতার জুড়ি মেলা ভার। একসময় বলিপাড়ায় জাঁকিয়ে বসেছিলেন চাঙ্কি পাণ্ডে। অল্প সময়ের জন্য হলেও পরপর প্রচুর ছবি করেছিলেন একটানা তিনি। তবে তারপরেই আচমকা হিন্দি ছবির জগৎ থেকে আচমকা হারিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি, কপিল শর্মার শো-এ হাজির হয়েছিলেন এই বর্ষীয়ান বলি-অভিনেতা। সেখানেই নিজের কেরিয়ারের গোড়ার দিকে এক অদ্ভুত ঘটনার কথা এই প্রথম ফাঁস করলেন তিনি।
চাঙ্কির কথায়, “তখন কেরিয়ারের শুরুর দিক। ততদিনে আমাকে লোকজন চেনা শুরু করেছেন। সেই সময় ছবিতে কাজ করা ছাড়া আর মাত্র একটা জায়গা থেকেই টাকা রোজগার করতে পারতাম আমরা অভিনেতারা। তা হল নানারকমের ইভেন্ট। বিয়ের অনুষ্ঠান হোক কিংবা বার্থডে পার্টি- ডাক পেলেই পেশাদার হিসাবে ওই অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে যেতাম আমি। আমার একটা ব্যাগ সবসময়ের জন্য গুছোনো থাকত। এরকমই এক সকালে এক ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার প্রধান থেকে ফোন পেলাম। প্রশ্ন ভেসে এল- আজ কী করছ? জানিয়েছিলাম, ছবির শুটিং আছে আজ। সেখানেই বেরোচ্ছি। ফের প্রশ্ন এল-কোন জায়গায় শুঁটিনঃ? বললাম, ফিল্ম সিটি। আমাকে সে অনুরোধ করল যাওয়ার পথেই একটা ইভেন্ট আছে। ১০ মিনিটের জন্য সেখানে হাজির থাকলেই চলবে। আমিও রাজি হয়ে গেলাম। ফোন রাখার আগে সে ফের বলে উঠল, সাদা পোশাক পরে যেন সেখানে হাজির হই। আমি বেশি প্রশ্ন করতাম না। সাতপাঁচ না ভেবে সেভাবেই ওখানে হাজির হয়ে গিয়েছিলাম।”
“তা গিয়ে দেখি প্রচুর লোক জমা হয়েছে সে জায়গায়। দেখলাম সবাই সাদা পোশাকে রয়েছেন। ভাল করে লক্ষ্য করাতে নজরে এল কেউ একজন মারা গিয়েছেন। তাঁর অন্ত্যষ্টিক্রিয়া শুরু হয়েছে। অবাক হয়ে ভাবিকলাম, ওই ইভেন্ট অর্গানাইজার-ই হঠাৎ মারা গেল কি না। ততক্ষণে মেক দেখে চারপাশে ফিসফাস শুরু হয়ে গিয়েছে। এদিক-সেদিক দেখতেই ওই লোকটাকে দেখলাম এক কোণে বসে, মানে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের ওই লোকটা। আমি ওঁর কাছে রেগেমেগে হাজির হতেই আমাকে চাপা স্বরে বলল, “চাপ নেবেন না। আপনার টাকার প্যাকেট আছে আমার কাছে। তবে মৃতের বাড়ির লোকজন বলেছে যদি একটু কাঁদেন সবার সামনে তবে পেমেন্ট আরও বাড়িয়ে দেবে!”
তারপর? তারপর কি হাউহাউ করে লোকদেখানো কান্না কেঁদেছিলেন চাঙ্কি ওই অপরিচিত মৃত ব্যক্তির জন্য? সেকথা অবশ্য বলেননি তিনি।
