গত কয়েক মাস ধরেই ওজন বেড়েছে আমিরের। বলিউডে গুঞ্জন ছড়িয়েছিল—দাদাসাহেব ফালকের বায়োপিকের জন্য নাকি চেহারা ভারী করছেন আমির খান। অনেকেই ভেবেছিলেন রাজকুমার হিরানি পরিচালিত সেই নতুন ছবির চরিত্রের খাতিরেই বাড়ছে তাঁর ওজন। কিন্তু সত্যিটা কিন্তু তা নয়। বরং একেবারেই অন্যরকম।
এবার এই প্রসঙ্গে সরাসরি মুখ খুলে ভক্তদের অবাক করলেন আমির খান নিজেই। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান— তাঁর মোটা হওয়াটা কোনও সিনেমার জন্য নয়, বরং স্বাস্থ্যজনিত সমস্যার কারণে হঠাৎ বেড়েছে তাঁর ওজন।
আমিরের কথায়, “না, ছবির জন্য ওজন বাড়াইনি। আসলে কিছুদিন ধরে ভয়ানক মাইগ্রেন হচ্ছে। চিকিৎসকরা আমাকে স্টেরয়েড দিয়েছেন। সেই স্টেরয়েডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াতেই ওজন বাড়ছে, আমার হাতে কিছু নেই। তবে ইতিমধ্যেই আমি ডায়েট আর ওয়ার্কআউট শুরু করেছি, কারণ সামনে নতুন কাজের জন্য ফিট থাকা দরকার।” তিনি আরও বলেন, এখনও পুরোপুরি রোগমুক্ত নন। “ডাক্তাররা আসল কারণটা এখনও ধরতে পারেননি। স্টেরয়েড খেলে মাথাব্যথা কমছে, কিন্তু দীর্ঘদিন এটা খাওয়া যাবে না। পরশু আবার ডাক্তার দেখানোর অ্যাপয়েন্টমেন্ট রয়েছে। চিকিৎসকরা যথেষ্ট দক্ষ, তবে রোগটা ঠিক কী কারণে হচ্ছে, সেটা চিহ্নিত করাই কঠিন।”
একসময় চরিত্রের খাতিরে নিজের শরীর নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্যই পরিচিত ছিলেন আমির খান। কখনও ‘গজনি’র জন্য পেশিবহুল শরীর, কখনও আবার ‘দঙ্গল’-এর জন্য ৯৭ কেজি পর্যন্ত ওজন বাড়িয়ে ভক্তদের তাক লাগিয়েছেন। তবে এবার পরিস্থিতি অন্য—কোনও চরিত্র নয়, শারীরিক অসুস্থতাই তাঁকে বাধ্য করেছে এই রূপে দেখা দিতে।
বলিউডের ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’-এর এই খোলাখুলি স্বীকারোক্তি ভক্তদের চিন্তিত করলেও, একইসঙ্গে আশার আলোও জাগিয়েছে—কারণ নিজের শরীরকে ফিরিয়ে আনতে ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছেন লড়াই।
অন্যদিকে, বলি অভিনেতা আমির খানের সঙ্গে যতটা মধুর তাঁর দুই বোনের সম্পর্ক, ঠিক ততটাই তিক্ত ভাই ফয়জল খানের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক। এক সময় পারিবারিক সম্পত্তির ভাগাভাগির জেরে বিতণ্ডা তৈরি হয়েছিল তাঁদের মধ্যে। বলিউডের অন্দরের খবর, শুধুমাত্র আমির নন, পরিবারের কারওর সঙ্গেই নাকি সদ্ভাব নেই ফয়সলের। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে আমিরের বিরুদ্ধে গুরুতর এক অভিযোগ এনেছেন ফয়জল। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, রিনা দত্তের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক থাকাকালীনই আমির এক বিদেশি সাংবাদিক জেসিকার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। শুধু তাই নয়, তাঁদের নাকি এক অবৈধ সন্তানও রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। যদিও এতদিন এ বিষয়ে আমির বা জেসিকা কেউই প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেননি।ফয়জল খানের বিস্ফোরক দাবি ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়েছে বলিউড মহলে।ব্রিটিশ সাংবাদিক ও লেখিকা জেসিকা হাইনস, যিনি নয়ের দশকের শেষ দিকে অমিতাভ বচ্চনের জীবনী লেখার কাজে ভারতে এসেছিলেন, তাঁর সঙ্গে নাকি আমিরের ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়েছিল। ফয়জলের অভিযোগ— সেই সম্পর্কই গড়ায় বিয়ে-বহির্ভূত সম্পর্কে এবং একটি সন্তানের জন্মেও! তাঁর বক্তব্য, সাহস থাকে তো আমির ডিএনএ পরীক্ষা করে দেখা
