আজকাল ওয়েবডেস্কঃ দু'দিনের ঝটিকা সফরে মুর্শিদাবাদে এসেছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। মঙ্গলবার তিনি অংশগ্রহণ করেন প্রখ্যাত গায়ক তথা মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ শহরের বাসিন্দা অরিজিৎ সিং পরিচালিত একটি গান ও থিয়েটারের ওয়ার্কশপে। 

জিয়াগঞ্জ শহরের মহাবীর জৈন কালচারাল হলে ওয়ার্কশপের আয়োজন করেছিল অদিতি সুর সাধনালয়।  সেখানেই মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অংশগ্রহণ করেন প্রায় কয়েকশো ছাত্রছাত্রী। এদিন সকালে রানাঘাট থেকে ট্রেনে করে বহরমপুর স্টেশনে পৌঁছন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। এরপর সেখান থেকে তিনি চলে যান সার্কিট হাউসে। খানিকক্ষক্ষণ বিশ্রাম নেওয়ার পর সড়কপথে জিয়াগঞ্জ যান রাজ্যপাল।

অরিজিৎ সিং-এর ওয়ার্কশপে আসছেন রাজ্যপাল এবং খোদ অরিজিৎ সেই  অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন, এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্বাভাবিকভাবে আমজনতার উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে। মঙ্গলবার সকাল থেকে অরিজিৎ সিং এবং রাজ্যপালকে দেখার জন্য ওই কালচারাল হলের সামনে ভিড় জমান অগুনতি মানুষ। অনুষ্ঠান চলার সময় অডিটোরিয়াম-এর ভেতরে সংবাদমাধ্যমেকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। 

অরিজিৎ-এর উদ্যোগে জিয়াগঞ্জে গান এবং থিয়েটারের ওয়ার্কশপের সূচনা করেন রাজ্যপাল। যেখানে মার্কন্ডে দেশপান্ডের মতো  বিখ্যাত মঞ্চ অভিনেতা প্রশিক্ষকের ভূমিকায় থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।  পাশাপাশি অরিজিৎ, সিং, পূর্বায়ন চট্টোপাধ্যায়, ওজাস আধিয়া-র মতো প্রখ্যাত শিল্পীদের কাছ থেকে সংগীতের তালিম নেওয়ার সুযোগ পাবেন ছাত্র-ছাত্রীরা। 

অরিজিৎ সিং-এর গান ও থিয়েটারের প্রশিক্ষণ শিবির থেকে বার হয়ে এদিন জিয়াগঞ্জ শহরে বিভিন্ন অলিগলি ঘুরে বেড়ান সি ভি আনন্দ বোস। সেখানে তাঁকে বহু সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। এরপর রাজ্যপাল পৌঁছে যান জিয়াগঞ্জ সুরেন্দ্রনারায়ণ বালিকা বিদ্যালয়ে। 

প্রশাসন সূত্রের খবর, এই স্কুলে যাওয়া রাজ্যপালের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ ছিল না। এদিন সি ভি আনন্দ বোস যখন রানাঘাট থেকে ট্রেনে করে বহরমপুরে আসছিলেন, সেই সময়ে ওই স্কুলেরই এক বাংলা শিক্ষিকা চন্দ্রানী হালদার রাজ্যপালের কামরায় সফর করছিলেন। রাজ্যপালকে চিনতে পেরে শিক্ষিকা তাঁকে নিজের স্কুলে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানান। 

শিক্ষিকার আমন্ত্রণ গ্রহণ করে ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে দেখা করতে জিয়াগঞ্জ সুরেন্দ্রনারায়ণ স্কুলে পৌঁছে যান সি ভি আনন্দ বোস। স্কুলটিতে পৌঁছনোর পর রাজ্যপালকে ছাত্রছাত্রীদের ভিড়ে মিশে তাদের সঙ্গে কথা বলতেও দেখা যায়। শিক্ষিকারা রাজ্যপালের হাতে ফুলের তোড়া তুলে দিয়ে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। 

এরপর দীর্ঘ পথযাত্রার ধকল সামলে সিভি আনন্দ বোস স্কুলের ঠিক পাশেই একটি নবনির্মিত বাড়িতে বেশ কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেন। সেখানে রাজ্যপালকে পনির পকোড়া, ধোকলা, ক্ষীরপুলি, দুর্গা ভোগের মতো বিখ্যাত মিষ্টি দিয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়।