সংবাদ সংস্থা মুম্বই: অভিজিতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পাল্টা জবাব দিলেন অস্কারজয়ী সুরকার এআর রহমান। সম্প্রতি, গায়ক অভিজিৎ ভট্টাচার্যের তোপের মুখে পড়েছিলেন তিনি। অভিজিেতর অভিযোগ, রহমানের প্রযুক্তিনির্ভর সঙ্গীতশৈলীর জন্যই লাইভ ইনস্ট্রুমেন্টেশন বা বাস্তব বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার কমেছে বলিউডে। সেই সঙ্গে তিনি রহমানকে দোষ দিয়েছেন বহু প্রতিভাবান সঙ্গীতশিল্পীকে ‘সাইডলাইনে’ পাঠানোর জন্যও।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই প্রসঙ্গে রহমান জানালেন, “আমার নামে সব দোষ চাপানো সহজ। আমি এখনও অভিজিৎকে ভালোবাসি, ওঁকে কেক পাঠাতে পারি। তবে ওঁর মত থাকতেই পারে, আর মত থাকা কোনও অপরাধ নয়।” কিন্তু শুধু মতের জায়গা নয়, যুক্তির খোঁজেও গেলেন রহমান। বললেন, “আমি সম্প্রতি দুবাইয়ে ৬০ জন মহিলা শিল্পীকে নিয়ে একটা অর্কেস্ট্রা তৈরি করেছি। তাঁরা প্রতি মাসে পারিশ্রমিক পান, ইন্স্যুরেন্স পান, স্বাস্থ্য পরিষেবা পান। আমি ‘ছবা’ বা ‘পন্নিয়িন সেলভান’-এর মতো প্রতিটি ছবিতে ২০০-৩০০ জন সঙ্গীতশিল্পীর সঙ্গে কাজ করেছি। কিছু গান তো ১০০ জনেরও বেশি লোক নিয়ে তৈরি হয়। আমি ছবি তুলে পোস্ট করি না বলে কারও নজরে আসে না।”
প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে রহমান বলেন, “কম্পিউটার একটা যন্ত্র মাত্র। আমি সেটাকে ব্যবহার করি হারমোনি ডিজাইন করতে। কিন্তু ২০০ জন বাদ্যযন্ত্রী এনে তাঁদের বাজিয়ে আবার বাদ দিলে সেটা অসম্ভব খরচের ব্যাপার। আমি যাঁদের সঙ্গে কাজ করি, তাঁরা জানেন আমি কতজন মিউজিশিয়ানের সঙ্গে কাজ করি।”
রহমানের সাম্প্রতিক কাজের তালিকায় রয়েছে ভিকি কৌশল অভিনীত ছবি ‘ছবা’ ও তামিল ছবি ‘কাধলিক্কা নেরামিল্লাই’। তিনি এখন কাজ করছেন আমির খানের প্রযোজনায় তৈরি ‘লাহোর ১৯৪৭’, মণি রত্নমের ‘ঠাগ লাইফ’, আনন্দ এল রাইয়ের ‘তেরে ইশ্ক মে’-তে। পাশাপাশি তিনি হাত মিলিয়েছেন বিশ্বখ্যাত অস্কারজয়ী সুরকার হ্যান্স জিমারের সঙ্গে-ও! নীতেশ তিওয়ারির পরিচালিত ‘রামায়ণ’-এর সঙ্গীত তৈরি করতে চলেছেন তাঁরা দু’জনে মিলে।
