নিজস্ব সংবাদদাতা: আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণের ঘটনার আবহে কলকাতা শহরে ফের উঠেছিল যৌন হেনস্থার অভিযোগ। এবং তা উঠেছিল টলিপাড়ার অন্দর থেকেই। জনপ্রিয় তারকা-পরিচালক অরিন্দম শীল ছবির চিত্রনাট্য বোঝাতে গিয়ে অভিনেত্রীকে সপাটে চুমু খেয়ে বসেন। এরপরেই মহিলা কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেন ওই টলি-অভিনেত্রী।
এরপর পরিচালকের বিরুদ্ধে ওই অভিনেত্রীই গত সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। এর আগে অভিনেত্রীর যৌন হেনস্থার অভিযোগে ডিরেক্টরস গিল্ড থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড হন অরিন্দম শীল। এই কাণ্ডের ভিত্তিতে অরিন্দম শীলকে কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের কমিটি থেকেও বরখাস্ত করা হয়েছিল। এর মধ্যেই আরও এক অভিনেত্রী 'ওয়েস্ট বেঙ্গল কমিশন ফর উইমেন'-এর কাছে পরিচালকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ দায়ের করলেন।
ওই অভিযোগকারিণীর কথায়, "ঘটনাটা ঘটে ২০১৭ সালে। আমি অরিন্দম শীলের অফিসে চিত্রনাট্য শুনতে গিয়েছিলাম। যখন তিনি আমাকে জড়িয়ে ধরেন। প্রথমে অস্বস্তি বোধ করি। কিন্তু বিষয়টা যে লালসার তা তখনই বুঝতে পারিনি।স্ক্রিপ্ট পড়ার মাঝে, তিনি প্রথমে আমার চুলে হাত বোলাতে শুরু করেন, তারপর একটি সোফায় গিয়ে আমায় তাঁর পাশে বসার জন্য বলেন। এরপর আমায় নোংরা ভাবে স্পর্শ করেন।"
তিনি আরও বলেন, "আমি সেই সময় বিবাহবিচ্ছেদের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলাম। আমি একজন একা মা, তখন আমার সন্তান ছোট ছিল। যদিও আমার মায়ের সঙ্গে পুরো বিষয়টা আলোচনা করেছিলাম। তখন সাহসের অভাবে মুখ খুলতে পারিনি। ভেবেছিলাম, পেশায় এর প্রকোপ এসে পড়বে। কিন্তু কিছুদিন আগে যখন আমার সহকর্মী এই একই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অভিযোগ দায়ের করেন। তখন আমি মনের জোর পাই।"
'ওয়েস্ট বেঙ্গল কমিশন ফর উইমেন'-এর চেয়ারপারসন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় এই বিষয়ে জানিয়েছেন, ঘটনা ঘটার এক বছরের মধ্যে অভিযোগ দায়ের করাটা নিয়ম। কিন্তু এই ক্ষেত্রে তিনি বিষয়টি নিয়ে আইনজ্ঞের পরামর্শ নেবেন এবং প্রয়োজন হলে পুলিশের দ্বারস্থ হবেন।
