দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো সিজন ৩-এর শেষ পর্বে কপিল শর্মার অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অক্ষয় কুমার। পুরো এপিসোডটাই ছিল মজায় ভরা। কপিল এবং অক্ষয়ের স্বভাবসিদ্ধ রসিকতায় ওঠে হাসির রোল। এপিসোড চলাকালীন অক্ষয় কানাডায় কপিলের ক্যাপস ক্যাফেতে গুলিবর্ষণের ঘটনার দিকে ইঙ্গিতও করেছিলেন।

মজার ছলে অক্ষয় বলেন, “তিনটি সিজন ইতিমধ্যেই নেটফ্লিক্সে হয়েছে। এর আগে সোনি-তে চলছিল, তার আগে কালার্সে। এখন দু’টি ফিল্ম করছে। আবার নিজের রেস্তরাঁও খুলেছে এবং সেখানে এত পয়সা রোজগার করেছে যে গুলি পর্যন্ত চলে।” এহেন মন্তব্য করে হেসে ওঠেন অভিনেতা। কপিল যদিও এহেন মজার কোনও উত্তর দেননি। কেবল হেসেই পাশ কাটিয়েছেন।

কানাডায় কপিলের ক্যাফেতে দ্বিতীয়বার গুলি চলার পর থেকেই তিনি শিরোনামে রয়েছেন। অভিযোগ অনুযায়ী, এবার হামলা চালিয়েছে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দলের লোকজন। কপিল তাঁর শো 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো'-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলিউড তারকা সলমন খানকে আমন্ত্রণ জানান। সেই কারণেই নাকি লরেন্সের দলের রোষদৃষ্টিতে পড়েন তিনি। একটি অডিও রেকর্ডিংয়ে এই হামলা সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ পেয়েছে।

সেটিতে যে ব্যক্তির গলা শোনা গিয়েছে, সে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্য হ্যারি বক্সার বলে দাবি। জানানো হয়, কপিল শর্মার ক্যাফেতে দু’বার গুলি চালানো হয়েছে কারণ তিনি নেটফ্লিক্সের একটি শোয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সলমনকে ডেকেছিলেন। বলিউড অভিনেতা 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো'-এর তৃতীয় সিজনের প্রথম পর্বে উপস্থিত ছিলেন, যা শুরু হয়েছিল ২১ জুন।

সলমন-ঘনিষ্ঠদের সতর্ক করে হ্যারি। তার কথায়, "কেউ যদি সলমনের সঙ্গে কাজ করে, সে ছোট অভিনেতা হোক বা পরিচালক, আমরা কাউকেই রেহাই দেব না। আমরা তাদের হত্যা করব। তাদের হত্যা করার জন্য আমরা যে কোনও সীমা অতিক্রম করতে পারি।“

এই হুমকির পর, ক্রাইম ব্রাঞ্চ তদন্তে নামে এবং কপিল শর্মাকে জিজ্ঞাসা করে যে তিনি কখনও ওই গ্যাং থেকে কোনও হুমকি পেয়েছেন কি না। কপিল জানান যে, তিনি এমন কোনও ঘটনার সম্মুখীন তিনি হননি।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই ঘটনার পর কপিলকে যথাযথ নিরাপত্তা প্রদান করা হয়েছে। নানা বিতর্কের মাঝেই ফের বিপাকে কপিলের শো। কারণ, ‘হেরা ফেরি’র প্রযোজক ফিরোজ নাদিয়াদওয়ালা নেটফ্লিক্স এবং শো–এর নির্মাতাদের কাছে ২৫ কোটি টাকার আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন। বিতর্ক তৈরি হয়েছে আসন্ন একটি এপিসোডে অক্ষয় কুমারের উপস্থিতির প্রোমোকে ঘিরে, যেখানে কিকু শারদাকে দেখা যায় পরেশ রাওয়ালের আইকনিক চরিত্র ‘বাবুরাও’–এর সাজে।

নোটিসে ফিরোজ নেটফ্লিক্স এবং শো–এর নির্মাতাদের বিরুদ্ধে চরিত্রটির ‘অননুমোদিত’ ব্যবহার করার অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, অবিলম্বে সোশ্যাল মিডিয়া এবং এপিসোড-সহ যে কোনও থার্ড-পার্টি প্ল্যাটফর্ম থেকে ওই অ্যাক্ট সরিয়ে ফেলতে হবে। এর পাশাপাশি, ভবিষ্যতে অনুমতি ছাড়া চরিত্রটি আর ব্যবহার করা হবে না—এমন লিখিত অঙ্গীকারপত্র এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আনুষ্ঠানিক ক্ষমাপ্রার্থনাও দাবি করেন তিনি।