কিংবদন্তি অভিনেতা সতীশ শাহের আকস্মিক প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বিনোদন জগত। ৭৪ বছর বয়সে কিডনিজনিত সমস্যার কারণে ২৫ অক্টোবর শনিবার তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর মৃত্যুতে সবচেয়ে বেশি ভেঙে পড়েছেন তাঁর সহ-অভিনেতারা। জনপ্রিয় কমেডি শো 'সারাভাই ভার্সেস সারাভাই'-এ সতীশ শাহের ছেলে 'রোশেষ সারাভাই'-এর চরিত্রে অভিনয় করা অভিনেতা রাজেশ কুমার গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে, এই ক্ষতি তাঁর কাছে বাবার প্রয়াণের সমান।
সতীশ শাহের প্রয়াণের খবর পাওয়ার পর রাজেশ কুমার বলেন, "এটা আমার জন্য সবথেকে খারাপ সময়। আমি এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না যে সতীশজি আর নেই। শুধু এইটুকু বলতে পারি যে, মনে হচ্ছে আমি আমার বাবাকে হারালাম। তিনি ছিলেন প্রাণপ্রাচুর্য এবং রসবোধে ভরপুর একজন মানুষ। তিনি সমস্ত কিছুকে চ্যালেঞ্জ করতেন। একজন অভিনেতা হিসেবে তিনি নিজের নাম তৈরি করেছেন এবং ছাপ রেখে গেছেন। এটা আমাদের ইন্ডাস্ট্রির এবং আমাদের (সারাভাই পরিবারের) জন্য এক বিশাল ক্ষতি। আসুন আমরা তাঁর আত্মার শান্তির জন্য প্রার্থনা করি এবং তাঁকে আমাদের প্রার্থনায় রাখি। আমি এখন সঠিক মানসিক অবস্থায় নেই, তাই বেশি কথা বলতে পারছি না।"
'সারাভাই ভার্সেস সারাভাই' ধারাবাহিকে সতীশ শাহ 'ইন্দ্রবদন সারাভাই' এবং রাজেশ কুমার তাঁর ছেলে 'রোশেষ সারাভাই'-এর চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন। এই কাল্ট ক্লাসিক শো-টি আজও সমান জনপ্রিয়।

রাজেশ কুমার আগে একাধিকবার জানিয়েছিলেন যে, সতীশ শাহ বাস্তব জীবনেও তাঁর 'ইন্দ্রবদন'-এর মতোই ছিলেন এবং শুটিংয়ের সময় তাঁকে নানাভাবে 'খোঁটা' দিতেন। তবে, সেই খুঁটিনাটি বকাঝকাই তাঁকে রোশেষ-এর চরিত্রটিকে আরও জীবন্ত করে তুলতে সাহায্য করেছিল। তিনি সতীশ শাহের কাছে অভিনয় জীবনের অনেক মূল্যবান শিক্ষা পেয়েছেন, যা তাঁর কাছে চিরস্মরণীয়। কঠিন সময়ে সতীশ শাহের কাছ থেকে পাওয়া প্রতিটি পরামর্শ এবং প্রতিক্রিয়া রোশেষ চরিত্রটিকে গড়ে তুলতে সাহায্য করেছিল, যা আজ দর্শকদের এত প্রিয়।
আরও পড়ুন: গাড়ি নিয়ে সজোরে ধাক্কা পথচারীদের! রাতের অন্ধকারে বেপরোয়া এই জনপ্রিয় নায়িকা
দীর্ঘ চার দশকেরও বেশি সময় ধরে অভিনয় জীবনে সতীশ শাহ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনে তাঁর কমেডি প্রতিভার জন্য পরিচিত ছিলেন। 'জানে ভি দো ইয়ারো', 'ম্যায় হুঁ না', 'কাল হো না হো'-এর মতো চলচ্চিত্রে তাঁর কাজ তাঁকে এক অনন্য পরিচিতি এনে দিয়েছে। তাঁর প্রয়াণ ভারতীয় শিল্পজগতের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।
