আজকাল ওয়েবডেস্ক: যদি মিউচুয়াল ফান্ডে নিজের টাকা বিনিয়োগ করতে চান তাহলে সেখান থেকে বেশ কয়েকটি ভাল অপশন রয়েছে আপনার কাছে। সেখান থেকে আপনি এখানে বিনিয়োগ করে সেখান থেকে ভাল রিটার্ন পেতে পারেন। এগুলি সবই এসবিআইয়ের আয়ত্ত্বে রয়েছে। সেখান থেকে দেখতে হলে এখানে বিনিয়োগ করলে প্রথম থেকেই মিলবে ভাল ফল।
এসবিআই পিএসইউ ফান্ডে যদি বিনিয়োগ করেন তাহলে সেখান থেকে আপনি ১২ শতাংশ হারে সুদ পেতে পারেন। এখানে রেশিও রয়েছে ০.৮৫ শতাংশ। এখানে ৩ বছরের রিটার্ন রয়েছে ৩৭.০৪ শতাংশ। যদি এখানে ১ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন তাহলে সেখান থেকে আপনি ২.৫ লাখ টাকা পাবেন।
এসবিআই হেল্থকেয়ার ফান্ডে যদি বিনিয়োগ করেন তাহলে সেখান থেকে আপনি ১২ শতাংশ হারে সুদ পেতে পারেন। এখানে রেশিও রয়েছে ০.৮৯ শতাংশ। এখানে ৩ বছরের রিটার্ন রয়েছে ২৯.৬০ শতাংশ। যদি এখানে ১ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন তাহলে সেখান থেকে আপনি ২.৫ লাখ টাকা পাবেন।

এসবিআই ইএলএসএস ফান্ডে যদি বিনিয়োগ করেন তাহলে সেখান থেকে আপনি ১২ শতাংশ হারে সুদ পেতে পারেন। এখানে রেশিও রয়েছে ০.৯৩ শতাংশ। এখানে ৩ বছরের রিটার্ন রয়েছে ২৬.৪৯ শতাংশ। যদি এখানে ১ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন তাহলে সেখান থেকে আপনি ২.৫ লাখ টাকা পাবেন।
এসবিআই ইনফ্রাসট্রাকচার ফান্ডে যদি বিনিয়োগ করেন তাহলে সেখান থেকে আপনি ১২ শতাংশ হারে সুদ পেতে পারেন। এখানে রেশিও রয়েছে ১.০৩ শতাংশ। এখানে ৩ বছরের রিটার্ন রয়েছে ২৬.৭৬ শতাংশ। যদি এখানে ১ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন তাহলে সেখান থেকে আপনি ২.০৪ লাখ টাকা পাবেন।

এসবিআই কন্ট্রা ফান্ডে যদি বিনিয়োগ করেন তাহলে সেখান থেকে আপনি ১২ শতাংশ হারে সুদ পেতে পারেন। এখানে রেশিও রয়েছে ০.৬৮ শতাংশ। এখানে ৩ বছরের রিটার্ন রয়েছে ২৪.৩৮ শতাংশ। যদি এখানে ১ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন তাহলে সেখান থেকে আপনি ১.২৯ লাখ টাকা পাবেন।
মিউচুয়াল ফান্ড হল এক ধরনের বিনিয়োগের মাধ্যম যেখানে অনেক বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে একটি পুল তৈরি করা হয় এবং সেই অর্থ বিভিন্ন সিকিউরিটিজ, যেমন - স্টক, বন্ড, ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করা হয়। এই পদ্ধতিতে, বিনিয়োগকারীরা তাদের পুঁজি একটি পেশাদার ফান্ড ম্যানেজার দ্বারা পরিচালিত একটি বৈচিত্রপূর্ণ পোর্টফোলিওতে বিনিয়োগ করে।
মিউচুয়াল ফান্ড বিভিন্ন বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে অল্প অল্প করে অর্থ সংগ্রহ করে। সংগৃহীত অর্থ একটি পেশাদার ফান্ড ম্যানেজার দ্বারা বিভিন্ন সিকিউরিটিজে (যেমন - স্টক, বন্ড, ইত্যাদি) বিনিয়োগ করা হয়। এই পদ্ধতিতে, বিনিয়োগকারীরা অল্প পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করেও বিভিন্ন ধরনের সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করার সুযোগ পায়, যা তাদের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

মিউচুয়াল ফান্ডগুলি অভিজ্ঞ ফান্ড ম্যানেজার দ্বারা পরিচালিত হয়, যারা বাজারের ওঠানামাকে ভালোভাবে বুঝতে পারেন এবং সেই অনুযায়ী বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নেন। মিউচুয়াল ফান্ডগুলি সাধারণত সহজে কেনা-বেচা করা যায়, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য সুবিধাজনক।
আরও পড়ুন: বিবর্তনের ধারাতে প্রবল বিষ এই সাপের, ধারেকাছে দেখলেই সাবধান
মিউচুয়াল ফান্ড বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, যেমন - ইক্যুইটি ফান্ড (Equity fund), Debt Fund, এবং হাইব্রিড ফান্ড (Hybrid fund)। এই ফান্ডগুলি মূলত স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করে, যা তুলনামূলকভাবে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ কিন্তু উচ্চ রিটার্নের সম্ভাবনা থাকে। এই ফান্ডগুলি বন্ড মার্কেটে বিনিয়োগ করে, যা তুলনামূলকভাবে কম ঝুঁকিপূর্ণ এবং স্থিতিশীল রিটার্ন প্রদান করে।এই ফান্ডগুলি ইক্যুইটি এবং ডেট উভয় ক্ষেত্রেই বিনিয়োগ করে, যা ঝুঁকি এবং রিটার্নের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখে।

তবে একটা বিষয় মাথায় রাখবেন যেখানেই বিনিয়োগ করবেন সেখানেই আপনি আগে থেকে সমস্ত তথ্য ভাল করে দেখে নিয়ে বিনিয়োগ করতে পারেন। যদি বিনিয়োগ করতে গিয়ে আপনার কোনও সমস্যা হয় বা যদি আপনি কোনও আর্থিক ক্ষতির সামনে পড়েন তাহলে তার দায় আজকাল ডিজিটাল নেবে না।
