আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রবীণরা কেন ঋণ পান না? এই প্রশ্ন অধিকাংশের মনে। কিন্তু অনেক ব্যাঙ্ক অবসর গ্রহণের পরেও কোনও ধরণের সমস্যা ছাড়াই প্রবীণ নাগরিকদের ঋণ সুবিধা দিয়ে থাকে। যেমন-পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক প্রবীণ নাগরিকদের জন্য ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিচ্ছে।
পেনশনভোগীদের জন্য পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের রয়েছে ব্যক্তিগত ঋণ প্রকল্প। আপনি যদি একজন পেনশনভোগী হন, তাহলে আপনি কোনও সমস্যা ছাড়াই সহজেই ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারেন। এই প্রকল্পটিও খুব বিশেষ, ফলে মানুষের বেশ আকর্ষণীয়।
ঋণ নেওয়ার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়...
পেনশনভোগীরা কোন বয়স পর্যন্ত ঋণ নিতে পারেন?
বিশেষ প্রকল্পের অধীনে, ঋণের পরিমাণ পেনশনের উপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয়। আপনার বয়স ৭০ বছর হলে, আপনি এই প্রকল্পের মাধ্যমে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পেতে পারেন।
আপনার বয়স যদি ৭০ বছরের বেশি হলে, আপনি এই প্রকল্পের মাধ্যমে সর্বনিম্ন ২৫,০০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা, অথবা পেনশনের পরিমাণের ১৮ গুণ ঋণ নিতে পারবেন। এছাড়াও, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে কর্মরত পেনশনভোগীরা তাদের পেনশনের পরিমাণের ২০ গুণ পর্যন্ত ব্যক্তিগত ঋণ নিতে পারবেন।
৭০ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য নিয়মগুলি আলাদা।
আপনার বয়স ৭০ বছরের বেশি হলে পেনশনভোগীদের জন্য নিয়মগুলি কী কী?
যদি পেনশনভোগীদের বয়স ৭০ থেকে ৭৫ বছরের মধ্যে হয়, তাহলে তাঁরা ঋণ হিসেবে ৭.৫ লক্ষ টাকা বা পেনশনের পরিমাণের ১৮ গুণ পর্যন্ত ঋণ পেতে পারেন। এছাড়াও, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে কর্মরত পেনশনভোগীরা ৭.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পেতে পারেন, যা পেনশনের পরিমাণের ২০ গুণ। যদি আপনার বয়স ৭৫ বছরের বেশি হয়, তাহলে আপনি ব্যাঙ্ক থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ অথবা ১২ মাসের পেনশনের সমতুল্য পরিমাণ টাকা পেতে পারবেন।
কত বছরে আপনি ঋণ পরিশোধ করতে পারবেন?
পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের মতে, পেনশনভোগীদের সর্বোচ্চ ৬০টি কিস্তিতে, অর্থাৎ ৫ বছরের মধ্যে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে। ৭৫ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ ২২৪টি কিস্তিতে, অর্থাৎ দুই বছরের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করতে হবে। ডকুমেন্টেশন চার্জ হিসেবে ৫০০ টাকা, সঙ্গে জিএসটি-ও নেওয়া হয়।
এই খবরটি জি বিজনেস সংস্থার মতামতের ভিত্তিতে প্রকাশিত হয়েছে। আপনি অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে আরও বিস্তারিত জানতে পারেন।
