আজকাল ওয়েবডেস্ক: চলতি সপ্তাহে আয়কর দফতরের পাঠানো একটি নতুন এসএমএস বহু করদাতার মধ্যে বিভ্রান্তি ও উদ্বেগ তৈরি করেছে। অনেকেই জানিয়েছেন, তাঁরা এমন একটি বার্তা পেয়েছেন যেখানে বলা হয়েছে তাঁদের আইটিআর রিফান্ড দাবি “রিস্ক ম্যানেজমেন্ট প্রসেস”-এর আওতায় চিহ্নিত হয়েছে এবং “কিছু অসামঞ্জস্যের” কারণে রিটার্ন প্রক্রিয়াকরণ আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে।
এই এসএমএসে আরও বলা হয়েছে, করদাতাদের ৩১ ডিসেম্বরের আগে সংশোধিত রিটার্ন দাখিল করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি দাবি করা হয়েছে, বিস্তারিত তথ্য-সহ একটি ইমেল আগেই পাঠানো হয়েছে। তবে বহু করদাতা জানিয়েছেন, তাঁরা কোনও ইমেলই পাননি। ফলে হঠাৎ গভীর রাতে আসা এই বার্তা উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে।
তাহলে কেন এই বার্তা পাঠানো হচ্ছে? নিয়ম মেনে রিটার্ন দাখিল করা বহু করদাতাও এই ধরনের সতর্কতামূলক এসএমএস পাচ্ছেন। এই বার্তাটি কোনও আনুষ্ঠানিক নোটিস নয়। এটি মূলত একটি অভ্যন্তরীণ সতর্কতা বা প্রম্পট। আয়কর দফতর কিছু নির্দিষ্ট দাবি বা লেনদেনের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত যাচাই করতে চায় বলেই রিটার্ন আপাতত হোল্ডে রাখা হচ্ছে।
সাধারণত উচ্চ লেনদেন, রাজনৈতিক বা অন্যান্য অনুদান, বিদেশি সম্পদের ঘোষণা কিংবা অস্বাভাবিকভাবে বেশি রিফান্ডের দাবি থাকলে এই রিস্ক ফিল্টার সক্রিয় হয়। রাজনৈতিক অনুদান দেওয়ার পর এক করদাতার রিটার্ন রিস্ক ম্যানেজমেন্টে ধরা পড়ে।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, প্রথমেই নিজের আইটিআর ভাল করে দেখে নিতে হবে। সব দাবির পক্ষে প্রয়োজনীয় নথি আছে কি না তা যাচাই করুন। কোনও ভুল থাকলে ৩১ ডিসেম্বরের আগেই সংশোধিত রিটার্ন জমা দিন। পাশাপাশি AIS ও ফর্ম ২৬এএস-এ কোনও অমিল আছে কি না তা পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ফিডব্যাক দিন।
তবে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। এই এসএমএস স্ক্রুটিনি নোটিস নয়। যাঁদের রিটার্ন সঠিক এবং নথিপত্রে সমর্থিত, তাঁদের ক্ষেত্রে যাচাই শেষ হলেই প্রক্রিয়াকরণ আবার শুরু হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়ম মেনে করদাতাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই—শুধু সচেতন থাকাই যথেষ্ট।
