আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভাদিলাল ভারতের অন্যতম বিখ্যাত আইসক্রিম ব্র্যান্ড। এর সাফল্যের গল্প, আইক্রিমের স্বাদ এবং মানের প্রতি এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে নিষ্ঠার প্রমাণ। ভাদিলাল ব্র্যান্ডের আইসক্রিম ভারতের স্বাধীনতার অনেক আগে থেকেই শুরু হয়েছিল। ফলে ভাদিলালের একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। ১৯০৭ সালে একটি সাধারণ সোডা শপ হিসেবে যা শুরু হয়েছিল, ক্রমেই  তা দেশের সবচেয়ে প্রিয় আইসক্রিম ব্র্যান্ডগুলির মধ্যে একটিতে পরিণত হয়েছে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ভাদিলালের আইসক্রিমে মজে রয়েছে। এই সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা 
ভাদিলাল গান্ধী। 

ভাদিলাল গান্ধী ও তাঁর সংস্থা সম্পর্কে কয়েকটি তথ্য-

- ভাদিলাল গান্ধী গুজরাটের আহমেদাবাদের বাসিন্দা। তিনি ১৯০৭ সালে এই আইকনিক ব্র্যান্ড তৈরি করেছিলেন।

- ভাদিলাল গান্ধী প্রথমে সোডা বিক্রি শুরু করেন, ক্রমেই সেই সতেজ পানীয় দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করে।

- পরবর্তীতে, তিনি হাতে তৈরি আইসক্রিম চালু করার সিদ্ধান্ত নেন। এবং কয়েক মাসের মধ্যেই তা চালুও করেন। সেই হাতে তৈরি আইসক্রিমও জনপ্রিয় হয়। 

- ভাদিলাল গান্ধীর পর, তাঁর ছেলে রণছোড় লাল গান্ধী ১৯২৬ সালে ব্যবসার দায়িত্ব নেন। তিনি আহমেদাবাদে ভাদিলাল সোডা ফাউন্টেন  নামে খুচরো বিক্রির দোকান খোলেন। যা সংস্থার ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত ছিল।

- এ দেশে আইসক্রিম শিল্পের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে, বুঝতে পেরে তিনি জার্মানি থেকে একটি উন্নত আইসক্রিম তৈরির মেশিন আমদানি করেন। ফলে আইসক্রিমের মানও বেড়ে যায়। 

- ভারত স্বাধীনতা লাভের সময়, ভাদিলালের আমেদাবাদে চারটি আউটলেট ছিল।

- রণছোড় লাল গান্ধীর পুত্র রামচন্দ্র এবং লক্ষণ গান্ধীর নেতৃত্বে ব্যবসা আরও সমৃদ্ধ হয়। ৭০-এর দশকে ভাদিলালের আউটলেট বেড়ে হয় ১০।  যার ফলে ভাদিলাল ব্র্যান্ড আরও পোক্ত হয়। ১৯৯০-এর দশকে ব্য়বসায় চতুর্থ প্রজন্মের অন্তর্ভুক্তি ঘটে। বীরেন্দ্র, রাজেশ এবং শৈলেশ (রামচন্দ্র গান্ধীর পুত্র) এবং দেবাংশু (লক্ষ্মণ গান্ধীর পুত্র)।

ভাদিলালের ক্যারামতি-

পেল্লাই আকারের 'সানডে লারজেস্ট আইস্ক্রিম' বানিয়ে ২০২১ সালের নভেম্বরে, ভাদিলাল লিমকা বুক অফ রেকর্ডসে স্থান করে নেয়।  এই বিশাল ডেজার্টটিতে ছিল ৪,৯৫০ লিটার আইসক্রিম, ১২৫ কেজি শুকনো ফল, ২৫৫ কেজি তাজা ফল এবং ৩৯০ লিটার বিভিন্ন ধরনের সস। যা মাত্র ৬০ মিনিটের মধ্যে ১৮০ জন লোকের সহায়তায় তৈরি করা হয়েছিল।

ক্রমেই দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে ভাদিলালের খ্যাতি সাত সমুদ্র তেরো নদী পেরিয়ে আমেরিকাতেও ছড়িয়ে পড়ে। গান্দী পরিবারের পঞ্চম প্রজন্ম কল্পিত গান্ধীর নেতৃত্বে ভাদিলালের শ্রীবৃদ্ধি ঘটছে। ভাদিলালের অসাধারণ যাত্রা- কীভাবে নিষ্ঠা, উদ্ভাবন এবং দৃঢ় পারিবারিক মূল্যবোধ প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে স্থায়ী উত্তরাধিকার তৈরি করতে পারে তার প্রমাণ।