আজকাল ওয়েবডেস্ক: দেশের রাজনীতিবিদরা যতই ঢাকঢাক গুড়গুড় করুক না কেন আসলে ভারত কিন্তু এখন অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে। ভাবছেন কোথায়? আরে বাবা মাথাপিছু আয়ের কথা বলছি। বিশ্বব্যাঙ্কের রিপোর্ট অনুসারে আমেরিকার মাথাপিছু আয়ের চারভাগের একভাগ করতে ভারতের সময় লাগবে আরও ৭৫ বছর। ভারতের সঙ্গে বিশ্বের ১০০ টি দেশের নাম এখানে রয়েছে। চিনের কাছে এই সময়সীমা রয়েছে ১০ বছর।

ইন্দোনেশিয়ার কাছে ৭০ বছর। বিগত ৫০ বছরের হিসাব তুলে ধরেছে বিশ্বব্যাঙ্ক। সেখানে দেখা গিয়েছে যেকোনও দেশের মাথাপিছু আয়ের তুলনায় মার্কিনদের মাথাপিছু আয় সবথেকে বেশি। তাই সেখানকার জীবনযাত্রার মান সকলের থেকে উন্নত। মার্কিন দেশে বর্তমানে মাথাপিছু আয় ৮ হাজার ডলার। এতেই তো কিস্তিমাত। দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি করলেই হল না। প্রতিটি নাগরিককে তাঁদের যোগ্য আয়ের সংস্থানও করে দিতে হবে। আর সেই কাজটি অত্যন্ত সুচতুরভাবে করে আসছে আমেরিকা।

এটা ঠিক সেই রকম এমন একটি গাড়ি আপনি চালাচ্ছেন যেখানে স্পিডমিটারটি বেঁধে দেওয়া রয়েছে। যতই গতিতে চালাতে চেষ্টা করুন না কেন সেই এক জায়গায় থেমে থাকতে হবে। বিশ্বের শক্তিধর দেশ হিসাবে সকলে আমেরিকাকেই মেনে চলে। কারণ হিসাবে এই মাথাপিছু আয় অন্যতম। সেদেশের উন্নতির যে গ্রাফ গোটা বিশ্ব দেখছে তার পিছনেও প্রধান কারণ এই মাথাপিছু আয়। ভারত সহ বিশ্বের অন্য দেশগুলি যেখানে অনেক পিছিয়ে সেখানে মার্কিনবাসী সামনের সারিতে। তাই ব্যক্তি ধরে আয় বাড়ালে হবে না। গোটা দেশের মানুষের আয় বাড়াতে হবে। তবেই উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে উঠে আসবে ভারত।