রিয়া পাত্র
গত কয়েকবারের বইমেলায় জোর চর্চা, মানুষ নাকি বই কেনার থেকে বেশি ঝুঁকছেন খাবারের স্টলের দিকে। এতে বইমেলার মধ্যেই গেল গেল রব। বইয়ের থেকে খাবার বেশি বিক্রি হচ্ছে বইমেলায়! এবার কেমন বিক্রি হল খাবারের দোকানগুলিতে? বইমেলার একেবারে শেষ দিনে খোঁজ নিল আজকাল ডট ইন।
আগে যেখানে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন হত, তার পাশেই থাকতো ফুড কোর্ট। এবার বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন নেই। তবে ফুড কোর্ট দিব্য বিদ্যমান। সেখানে পরপর খাবারের দোকান। রকমারি গন্ধ আর হরেক ডাক। কেউ ডাকছেন গরম ফিশ ফ্রাইয়ের জন্য, কেউ পোলাওয়ের সঙ্গে হাঁসের ডিমের কালিয়ার কম্বোর কথা বলে জিভে জল আনানোর উপক্রম। সেখানেই স্টল 'গিন্নি'র। যার ট্যাগ লাইন আবার 'ওজন ভুলে ভোজন'। মানুষ ওজন ভুলে ভোজন করল কতটা? কিছুটা হতাশ কর্ণধার। বলছেন এবারে নানা রকম মেনু থাকলেও, সেভাবে বিক্রি হয়নি। একই কথা রয়্যাল ইন্ডিয়া, ডো অ্যাজ ইউ লাইক, মধুরেণর। কিন্তু কারণ কী?
ডো অ্যাজ ইউ লাইক-এর মনোজ দাস বলছেন, আগের বছরের থেকে অন্তত ৫০ শতাংশ কমেছে বিক্রি। সপ্তাহের শেষ দু'দিন বাদ দিলে দিনে গড়ে ৫৫ হাজারের আশেপাশে বিক্রি হয়েছে। রয়্যাল ইন্ডিয়া বলছে, কেউ রোল খেতে আসছেন, কেউ কেবাব, কেউ চিকেন চাপ, কোনও খাবারের দাম ১৪০, কোনওটার ৩৫০। ১০ হাজারের বেশি লোক খাচ্ছেন ঠিকই, কিন্তু তবুও বিক্রি আগের বছরের মতো নয়। মধুরেণতে পাওয়া যায় পাটিসাপটা মালাই চপ, শাহি কলাকন্দ, রাজভোগ, মালাই স্যান্ডউইচ, পাঁপড়ি চাট, দাম ২০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে। কর্তৃপক্ষ বলছে বিক্রি গত বছরের তুলনায় অন্তত ২৫ শতাংশ কমেছে। কারণ খুঁজতে যাওয়ায় গৌরব ঘোষ বলছেন, অন্যতম কারণ তাঁদের স্টলের জায়গা বদল হয়েছে এবার। তাছাড়া বইমেলা আর মাধ্যমিক পরীক্ষা প্রায় এক সময় হওয়ায় ওই বয়সের পড়ুয়া, তাদের অভিভাবকরা আসেননি মেলায়।
