রিয়া পাত্র

আবার সোমবার থেকে কেজো করুণাময়ী অতিরিক্ত কেজো লাগবে। গত ১২ দিনের মতো মোড়ের কাছে শ্লথ হয়ে যাবে না মানুষের ভিড়। কেউ কেউ উদাস হয়ে দেখবেন ভাঙা মেলা, ভাঙা স্টল। মন কেমনটা সোমবার সকালে আচমকা শুরু হবে তেমনটা নয়। রবিবার রাতে গিল্ডের সামনে অনুষ্ঠান সমাপ্তির ঘোষণার পর যে ঘণ্টা ধ্বনিত হয়, তার রেশেই ছড়িয়ে যায় মনখারাপের সুর। এই ছিল, এই নেই অনুভূতি শিরশিরে হাওয়ার মতো করুণাময়ী থেকে ছড়িয়ে যায় উল্টোডাঙা, সেক্টর ফাইভে। জেলার যে কবি লিটল ম্যাগাজিন প্যাভিলিয়নে বসছিলেন ক'দিন, বন্ধুর টেবিল থেকে তিনিও ঠাসা বইয়ের মাঝে মনখারাপ কুড়িয়ে নিয়ে রাতের ট্রেন ধরবেন। অপেক্ষা করবেন আরও এক বছর। কেউ কেউ ইতিমধ্যে ফিরতি ট্রেন ধরেছেন। তাঁরা ফোনে শুনবেন ঘণ্টার ধ্বনি। মনে মনে বলবেন, আসছে বছর আবার হবে। 

প্রতি বছর সমাপ্তি অনুষ্ঠানে আসলে আগামী বছরের সাক্ষাতের সম্ভাবনাকে বাঁচিয়ে রাখার কথা বলে। মনে করিয়ে দেয়, এবছর শেষ হবে বলেই, আগামী বছর ফের দেখা হবে প্রকাশকের, পাঠকের, লেখকের। 

বইমেলার সমাপ্তি অনুষ্ঠান

৪৮তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা শেষ হল। সমাপ্তি অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী, গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক এবং সভাপতি-সহ অন্যান্য পদাধিকারী ব্যক্তিরা, উপস্থিত ছিলেন প্রচেত গুপ্ত, হিমাদ্রী কিশোর দাশগুপ্ত-সহ বিশিষ্ট সাহিত্যিকেরা। গিল্ডের পক্ষ থেকে সুধাংশু শেখর দে জানান, চলতি বছরে বইমেলায় ২৭ লক্ষের বেশি মানুষের পদার্পণ ঘটেছে। প্রকাশকদের দেওয়া হিসেব অনুযায়ী মেলায় ২৫ কোটির বই বিক্রি হয়েছে।

আজকাল-এর স্টলে অরূপ বিশ্বাস

মেলার শেষ দিন। শনিবার বেশি ভিড় হয়েছিল, নাকি ভিড় বেশি রবিবার, তা নিয়ে অনেকেই জটলা করে আলোচনা করছিলেন ইতিউতি। তবে শেষ দিনে স্টলে স্টলে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। আজকাল-এর স্টলে রবিবার বিশিষ্ট সাহিত্যিকেরা উপস্থিত ছিলেন। একই সঙ্গে উপস্থিত হয়েছিলেন অরূপ বিশ্বাস। জানালেন, প্রতি বছর আজকাল-এর নতুন বইয়ের সম্ভার এবং ছবি, দুই দেখতে আসেন তিনি। বহু বছরের অভ্যাস, তাই শেষ দিনে হলেও, আজকাল একবার ঘুরে যেতেই হবে তাঁকে।