আজকাল ওয়েবডেস্ক: নতুন বছরের শুরুতেই ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে 'দুয়ারে স্বাস্থ্য পরিষেবা'। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও ডায়মন্ড হারবার-এর সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জি নিজে এই উদ্যোগ নিয়েছেন। শনিবার তিনি জানান, এই পরিষেবা চালু হবে আগামী ২ জানুয়ারি। যেখানে বিধানসভাগুলিতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার শিবির ও এই পরিষেবার প্রয়োজনে পরীক্ষা ও বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ করা হবে। প্রয়োজনে কলকাতার বিভিন্ন সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলিতে রেফার করা হবে এবং এই রেফার্ড হওয়া রোগীরা যাতে ঠিকঠাক ভর্তি হতে পারেন তা দেখার জন্য একটি বিশেষ দলও তৈরি করা হয়েছে। 

আরজি কর-এর ঘটনার পর শাসকদলের কোনও নেতার ডাকে এই প্রথম একসঙ্গে এতজন চিকিৎসক এগিয়ে এলেন। ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের আমতলায় একটি প্রেক্ষাগৃহে এদিন গোটা রাজ্য থেকে উপস্থিত ছিলেন দেড় হাজারের কাছাকাছি চিকিৎসক। এদিন অভিষেক বলেন, ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে এই কর্মসূচি ২ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে চলবে ৭৫ দিন। এই কর্মসূচি যে সফল হবেই সে বিষয়ে আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করে অভিষেক তুলে ধরেন করোনার সময় কীভাবে এই লোকসভা কেন্দ্রে একদিনে ৫০,০০০-এর বেশি করোনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। 

আরজি কর কাণ্ডের পর গোটা রাজ্য জুড়েই কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিয়ে সরব হয়েছেন চিকিৎসকরা। এদিন চিকিৎসকদের নিরাপত্তা ও সুবিধা-অসুবিধার দিকগুলি বলতে গিয়ে অভিষেক বলেন, ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স  ও সেখানকার অন্যান্য কর্মীদের নিরাপত্তা ও পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন। এর পাশাপাশি চিকিৎসকরা  যদি পরিষেবা দিতে গিয়ে সমস্যার মুখোমুখি হন তবে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে 'একডাকে অভিষেক'-এর যে ৭৮৮৭৭৭৮৮৭৭ ফোন নম্বরটি রয়েছে সেই নম্বরে যেন প্রয়োজনে তাঁকে ফোন করে জানান। যা দেখার জন্য অভিষেক ১০ জনের একটি 'প্রায়োরিটি গ্রুপ' তৈরি করে দেন। পাশাপাশি নারী ও শিশুদের সুরক্ষায় বিধানসভায় পাস হওয়া 'অপরাজিতা' বিল আইনে পরিণত না হওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। সেই সঙ্গ তিনি জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি বিলে সই না করলে তিনি 'প্রাইভেট মেম্বার বিল' আনবেন। এই কর্মসূচি শেষ হওয়ার পর চিকিৎসকরা যদি তাঁদের এলাকায় এই ধরনের পরিষেবা দিতে ইচ্ছুক হন তবে সেখানে পূর্ণ সহযোগিতা করবেন বলেও জানিয়েছেন অভিষেক। এদিন এই অনুষ্ঠানের চিফ-কোঅর্ডিনেটর ছিলেন ডাঃ অভিক ঘোষ, ডাঃ শেখ মেরাজুদ্দিন এবং ডাঃ অনির্বাণ দলুই।