মিল্টন সেন, হুগলি: জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি ঘিরে মুখ খুললেন তৃণমূল সাংসদ রচনা ব্যানার্জি। কর্মবিরতি তুলে জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে ফেরার আহ্বান করলেন তিনি। পাশাপাশি জনসাধারণ যাতে উৎসবে ফিরে আসেন, তার আবেদনও করলেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁত বস্ত্র মেলার উদ্বোধনে এসে হুগলির সাংসদ রচনা ব্যানার্জির মন্তব্য, 'আমি কোনওদিন বলিনি তাঁরা ভুল কাজ করছেন। আমি সব সময় তাঁদের সঙ্গে আছি। পাশে রয়েছি। কারণ, তাঁরা বিচার চাইছেন। আমরাও সবাই বিচার চাইছি। আমরা চাই দোষী শাস্তি পাক। অভিযুক্তকে সাজা দেওয়া হোক। তার জন্যই এই আন্দোলন। প্রতিবাদ। সেটাকে আমরা সকলেই সমর্থন করি। শুধু আমি নই, আমাদের মুখ্যমন্ত্রীও রয়েছেন তাঁদের পাশে। যদিও চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জন্য অনেক মানুষ দুঃখ পাচ্ছেন। কষ্ট পাচ্ছেন। অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। অনেক তিলোত্তমা তৈরি হচ্ছে। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। আমার মনে হয়, তাঁদের কথা ভেবে দেখলে ভাল হয়। তাই জুনিয়র ডাক্তারদের কাছে আমার কর জোড়ে আবেদন, আন্দোলন থাকবে। আন্দোলন করুন। কিন্তু কাজে ফিরে আসুন।'
এদিন তিনি জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশাপাশি মানুষের কাছেও উৎসবে ফেরার আবেদন জানান। সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, 'এবার উৎসবে ফিরে আসুন।' সেই প্রসঙ্গে রচনা বলেন, 'আমি, পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্যরা জানেন, দিদি যা বলেন তিনি চিন্তাভাবনা করেই কথা বলেন। তাঁর কথাকে আমরা স্মরণ করি। পুজো নিশ্চয়ই হওয়া দরকার। কারণ পুজোর সঙ্গে শুধু আনন্দ নয়, বহু মানুষের শ্রম জড়িয়ে রয়েছে। যাঁরা মণ্ডপ নির্মাণ করেন, তাঁরা কত শ্রম দিয়ে মণ্ডপ নির্মাণ করেন। উৎসব এলেই অনেক মানুষের রুটি- রোজগার করে সংসার চলে। তাই সেটাকে ভুলে গেলে হবে না।'
হুগলি জেলা প্রশাসন, হুগলি জেলা পরিষদ এবং উন্নয়ন আধিকারিক হস্ততাঁত দপ্তর চুঁচুড়ার উদ্যোগে শুরু হল ৩৯ তম শারদীয়া তাঁত বস্ত্র মেলা। চুঁচুড়া ময়দানে মেলার শুভ সূচনা করেন হুগলির সাংসদ রচনা ব্যানার্জি। উপস্থিত ছিলেন হুগলির জেলাশাসক মুক্তা আর্য্য, বিধায়ক অসীমা পাত্র, হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি রঞ্জন ধারা প্রমুখ। মেলা চলবে ২৩শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
ছবি পার্থ রাহা।
