আজকাল ওয়েবডেস্ক: শুক্রবার মাঝ রাতে বঙ্গোপসাগরে টর্নেডোর মধ্যে পড়ে ডুবে গিয়েছিল মৎস্যজীবীদের একটি ট্রলার। এফবি গোবিন্দ নামে ওই ট্রলারে মোট নয় জন মৎস্যজীবী ছিলেন। ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন সকলেই। শনিবার সকালে সেই খবর পেয়ে ডুবে যাওয়া ট্রলার উদ্ধারের জন্য কাকদ্বীপ থেকে রওনা দিয়েছিল বেশ কয়েকটি ট্রলার। অবশেষে অনেক সমস্যা, বাধা বিপত্তি কাটিয়ে রবিবার সকাল থেকে শুরু হয় উদ্ধার কাজ। 

 

বঙ্গোপসাগরে ডুবে যাওয়া ট্রলার এফবি গোবিন্দকে প্রায় আটটি মৎস্যজীবী ট্রলার দিয়ে টেনে নিয়ে আসে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা ব্লকের হরিপুরের অদূরে লুথিয়ান দ্বীপে। ট্রলারের মধ্যে তল্লাশি চালিয়ে এখনও পর্যন্ত ৮ জন মৎস্যজীবীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। একজন মৎস্যজীবী এখনও নিখোঁজ। তাঁর খোঁজেও তল্লাশি শুরু চলেছে। পাশাপাশি উদ্ধার হওয়া মৎস্যজীবী সকলেই মৃত বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের দেহ শনাক্তকরণের কাজ শুরু হয়েছে। 

 

ঘটনাস্থলে রয়েছেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা, মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ বাপি হালদার, সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা। এই ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া, কান্নাকাটির রোল পড়েছে ঘটনাস্থলে। স্বজন হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা। বঙ্কিম হাজার বলেন, “বঙ্গোপসাগরে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে পড়ে একটা ট্রলার ডুবে যায়। ৯ জন মৎস্যজীবী নিখোঁজ হয় এই ঘটনায়। দুদিনের প্রচেষ্টায় ট্রলারটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে, কিন্তু মানুষ গুলিকে আর জীবিত ফেরানো সম্ভব হল না। ৮ জন মৎস্যজীবীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। এখনও একজন নিখোঁজ রয়েছেন ওই মৎস্যজীবীর খোঁজ চালানো হচ্ছে। উদ্ধার হওয়া দেহগুলির শনাক্তকরণের চেষ্টা চলছে।'