আজকাল ওয়েবডেস্ক: ফের বিতর্কে সিভিক ভলান্টিয়ারের ভূমিকা। এবার শ্লীলতাহানির অভিযোগে একজন সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেফতার করলো পুলিশ। পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম থানার ওই অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম রহমতুল্লা শেখ । আউশগ্রামের নৃপতিগ্রামে তাঁর বাড়ি। শুক্রবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এলাকার এক বধূ তাঁর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেন। ধৃতকে শনিবার বর্ধমান আদালতে পাঠানো হয়। এই ঘটনার জেরে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভের আঁচ লক্ষ্য করা গিয়েছে বাসিন্দাদের মধ্যে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আউশগ্রামের নৃপতিগ্রামে দুটি পরিবারের মধ্যে ঝামেলার জেরে গ্রামের কয়েকজন মিলে সালিশিসভা বসিয়েছিলেন। গ্রামেরই বাসিন্দা সিভিক ভলান্টিয়ার রহমতুল্লাহ শেখ সেই খবর পেয়ে তাদের জানিয়ে দেন পুলিশের নির্দেশ অনুযায়ী এরকম কোনও সালিশিসভা বসানো যাবে না। এরপর রহমতুল্লা চলে যান। তারপর তিনি গ্রামের আরেকটি জায়গায় নজরদারির কাজে যান।
ওইদিন রাতে স্থানীয় এলাকার আদিবাসী সম্প্রদায়ের বছর ত্রিশের এক বধূ আউশগ্রাম থানায় রহমতুল্লা শেখের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায়। তাঁর অভিযোগ, রহমতুল্লা শেখ আগে থেকেই তার ওপর কুনজর দিত। শুক্রবার তাঁর বাড়িতে কেউ ছিলেন না। বধূ উঠানে তক্তার ওপর শুয়ে ছিলেন। সেইসময় একা থাকার সুযোগে রহমতুল্লা তাঁর শ্লীলতাহানি করে বলে মহিলার দাবি।
এই ঘটনার অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করে। যদিও ধৃতের দাবি, ওই পাড়ায় বেআইনি চোলাইমদের কারবার চলে। নিষেধ করায় বচসা হয়। এরপর মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে তাকে।
বিষয়টি নিয়ে জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ বলেন, মহিলা থানায় শ্লীলতাহানির অভিযোগ করায় পুলিশ অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করেছে ও মামলা রুজু করেছে। গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে।
