আজকাল ওয়েবডেস্ক: সিএএ-তে আবেদন করতে সাবধান। আবেদন করলেই বন্ধ হয়ে যাবে লক্ষীর ভান্ডার থেকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। বন্ধ হয়ে যাবে অন্যান্য সব সুযোগ সুবিধাই। সতর্ক করলেন বনগাঁ পুরসভার তৃণমূলের চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে তিনি কি একথা বলতে চাইছেন, রাজ্যে থেকে সিএএ-র আবেদন করা যাবে না? করলেই একসঙ্গে একগুচ্ছ সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে? উত্তর খুঁজছেন হন্যে হয়ে সাধারণ মানুষ। মিলল কি উত্তর?

এবিষয়ে গোপাল শেঠ বলেন, 'আমি কী বলেছি সেটা আগে ভালোভাবে বুঝতে হবে। আমি বলেছি যখন একজন কেউ সিএএ-র জন্য আবেদন করছেন তখন তিনি বুঝিয়ে দিচ্ছেন তিনি এদেশের নাগরিক নয়। বিদেশ থেকে এসেছেন। একজন দেশের নাগরিক যেই সুবিধাটা পায় সেটা কি কোনও বিদেশি নাগরিককে দেওয়া হয়? ফলে যখনই তিনি সিএএ-তে আবেদন করবেন তখনই তাঁর এদেশ থেকে প্রাপ্ত সমস্ত সুবিধা স্থগিত হয়ে যাবে। যতদিন না পর্যন্ত তিনি এদেশের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি পাচ্ছেন ততদিন তিনি এই সুবিধাগুলো পাবেন না। এই বিষয়টা যথেষ্টই লম্বা একটি পদ্ধতি এবং সময় সাপেক্ষ।' এর পাশাপাশি বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের সমালোচনা করে বলেন, শান্তনু ঠাকুরের কী এক্তিয়ার আছে যে তিনি নাগরিকত্ব কার্ড দিচ্ছেন? এটা সম্পূর্ণটাই একটি সরকারি পদ্ধতি। 

আরও পড়ুন: ভারতীয় পণ্যে ২৫% শুল্ক, বন্ধু ভারতের সঙ্গে চরম শত্রুতা করে দিলেন 'হিংসুটে' ট্রাম্প! কারণ যা জানা গেল...

কার্যত গত কয়েকদিন ধরেই উত্তর ২৪ পরগণার সীমান্তবর্তী এলাকা সিএএ নিয়ে সরগরম। গত বৃহস্পতিবার ২৪ জুলাই বাগদার চোয়াটিয়া বাজারে সিএএ নিয়ে অনলাইনে আবেদন করার জন্য বিজেপির তরফে একটি শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপির বিরোধী দলনেতা সৌরভ গোয়ালি এই শিবিরের উদ্যোগ নেন। গত কয়েকদিন ধরেই চলে এই শিবির। এরই মাঝে গত রবিবার তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে তার কিছুটা দূরেই আয়োজন করা হয় এই সম্পর্কিত আর একটি শিবিরের। ঘাসফুলের এই শিবির থেকে দাবি তোলা হয় নি:শ্বর্ত নাগরিকত্বের। যাদের কাছে ভোটার কার্ড আছে তাঁরাই এদেশের নাগরিক বলে ঘাসফুলের তরফে দাবি করা হয়। 

তৃণমূলের ওই শিবিরে দাঁড়িয়ে প্রাক্তন এক পঞ্চায়েত সদস্য দাবি করেন, তিনি ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছেন। তাঁর কথায়, বাংলাদেশ থেকে তো বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকার ও স্বপন মজুমদারও এসেছেন। তাঁরা কি সিএএ-তে আবেদন করেছেন? এবিষয়ে বাগদা পশ্চিম ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি নিউটন বালা অভিযোগ করেন, 'বিজেপি সাধারণ মানুষকে ভুল বুঝিয়ে আবেদন করাচ্ছে। আমরা সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন করছি যাতে তাঁরা আবেদন না করেন। দেখা যাচ্ছে বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাঙালি বিদ্বেষ চলছে আর এখানে সিএএ-তে আবেদন করাচ্ছে। গোটাটাই একটা হাস্যকর বিষয়।