আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভাইফোঁটার দিনে বড় বিপত্তি। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড বাণিজ্যনগরীতে। দাউদাউ করে জ্বলচ্ছে আবাসন। আতঙ্কে, ভয়ে ছাদের উপরে উঠে দাঁড়িয়ে রয়েছেন আবাসিকরা। বৃহন্নুম্বাই পৌর কর্পোরেশনের (বিএমসি) মুম্বাই ফায়ার ব্রিগেড (এমএফবি) মতে, ঘটনাটিকে লেভেল-২ কল ঘোষণা করা হয়েছে।

?ref_src=twsrc%5Etfw">October 23, 2025

বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ের যোগেশ্বরী পশ্চিম এলাকার জেএমএস বিজনেস সেন্টারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। মুহূর্তে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বাসিন্দাদের মধ্যে।  খবর পাওয়ার পরপরই দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য, একাধিক দমকল মিলে চেষ্টা চালাচ্ছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের।

ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলের ভিডিও ইতিমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে দেখা গিয়েছে, একটি বহুতল রীতিমতো দাউদাউ করে জ্বলছে। কালো, ঘন ধোঁয়ায় ঢেকেছে চারপাশ। বহুতলের বাসিন্দারা ছাদের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছেন। উদ্ধারকারী দল, সেখান থেকেই উদ্ধার করছে বাসিন্দাদের। তবে অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানা যায়নি প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত।

আরও পড়ুন: গৃহকর্তার চোখের সামনে স্ত্রী ও দেড় বছরের শিশুকন্যাকে আছড়ে মারল হাতি, হামলায় একদিনেই ৩ জনের মৃত্যু

যদিও দীপাবলির মরসুমে আতশবাজির কারণেই দেশের নানা জায়গায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা সামনে এসেছে ইতিমধ্যেই। এই রাজ্যেই একাধিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে গত কয়েকদিনে। মঙ্গলবার রাতে  বিজেপির মৎস্য কর্মাধ্যক্ষের কাকার বাড়িতে বাজি থেকে আগুন লাগে। নিমেষের মধ্যে ভষ্মীভূত হয়ে যায় মাটির বাড়িটি। স্থানীয় লোকজন শুরুতে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। খবর পেয়েই ছুটে যান এক তৃণমূল নেতা। ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় তৃণমূল কর্মাধ্যক্ষ আগুন নেভানোর কাজ করেন। পরে খানাকুল থানার পুলিশ ও বিধায়ক এলাকায় গিয়ে পৌঁছন। 

 

ভাইফোঁটার সকালে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে কলকাতায়। আমহার্স্ট স্ট্রিট এলাকার একটি প্রিন্টিং প্রেসে বিধ্বংসী এই আগুন লাগে। ঘটনাস্থলে দমকলের চারটি ইঞ্জিন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভানোর কাজ চলছে। গোটা এলাকা কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে। ফলে আগুন নেভাতে বেশ কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে দমকলকর্মীদের। যদিও মাস্ক পরে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা। 


শুধু তাই নয়, ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় বেশ কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে দমকলকর্মীদের। যদিও কালো ধোঁয়ার মধ্যেই গ্যাসমাস্ক পড়ে ভিতরে ঢুকে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন দমকলকর্মীরা। তবে কীভাবে এই আগুন তা এখনও স্পষ্ট নয়। শর্ট সার্কিট থেকেই এই আগুন লাগতে পারে বলে প্রাথমিক অনুমান দমকলের।


জানা গেছে, স্থানীয় মানুষজনই বৃহস্পতিবার সকালে ওই প্রিন্টিং প্রেস থেকে কালো ধোঁয়া বের হতে দেখেন। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় স্থানীয় দমকল এবং পুলিশে। ছুটে আসে এক এক করে দমকলের চারটি ইঞ্জিন। তবে এলাকা এতটাই ঘিঞ্জি যে ঘটনাস্থলে ঢুকতে রীতিমতো বেগ পেতে হয় দমকল কর্মীদের।