আজকাল ওয়েবডেস্ক: ইস্টবেঙ্গলে বিষ্ণু অবতার। বাঁ পায়ে তিনি সবুজ মাঠে ফুল ফোটাচ্ছেন। এবারের কলকাতা লিগে তাঁকে অনেক পরিণত দেখাচ্ছে। তিনি নিজে গোল করছেন, গোল করাচ্ছেন। বাড়তি পাওনা তাঁর দৃষ্টিনন্দন ফুটবল। যা মন কেড়ে নিচ্ছে ফুটবলপাগলদের।
কলকাতা লিগ জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। ২২ তারিখ ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে খেলা ইউনাইটেড স্পোর্টসের। তার আগে প্রাক্তন ফুটবলার থেকে কোচ বিষ্ণুর পাশে দাঁড়িয়ে বলছেন, ''ও লম্বা রেসের ঘোড়া।''
আরও পড়ুন: নাগিন ড্যান্সের বদলার ম্যাচ, এশিয়া কাপে আজ শুরু সুপার ফোর, শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি বাংলাদেশ...
ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন ফুটবলার অর্ণব মণ্ডল জাতীয় দলে বিষ্ণুকে দেখতে চান। প্রাক্তন ডিফেন্ডার বলছেন, ''বিষ্ণু আগের থেকে অনেক পরিণত। দেখেও বেশ ভাল লাগছে। উইংয়ে খেলত আগে। এখন মাঝখান দিয়ে বেশি অপারেট করছে। নম্বর ১০ হিসেবে দেখা যাচ্ছে। খেলায় আরেকটু বৈচিত্র্য আনতে হবে। বক্সের ভিতরে আরেকটু ক্লিনিক্যাল হতে হবে। তাহলেই ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাবে। ভারতীয় দলে এখনই ওকে ডাকা উচিত। নাওরেম মহেশের কথা মাথায় রেখেও বলছি, বিষ্ণু অনেক বেশি কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ করতে পারবে।''

বল পায়ে তড়িৎ গতিতে ছোটেন বিষ্ণু। সামনে থাকা এক বা দুই ডিফেন্ডারকে সহজেই মাটি ধরিয়ে দেন। নিখুঁত নিশানায় বল বাড়াতে পারেন। নিজে গোল করেন, সতীর্থদের দিয়ে গোলও করান। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা বিষ্ণুর মধ্যে কৃশানু দে-কে খোঁজেন।
একসময়ে কৃশানু-বিকাশ জুটি নিয়ে ময়দানে চর্চা হত খুব। দুই প্রাক্তন ফুটবলারের বোঝাপড়া ছিল চমৎকার। চোখে চোখে কথা হত দু'জনের। বিকাশ পাঁজি বলছেন, ''কৃশানুর সঙ্গে তুলনা করাটা ঠিক নয়। বিষ্ণু ও কৃশানু, দু' ধরনের ফুটবলার। দু'জন দুই পজিশনের খেলোয়াড়। কৃশানু উইং ধরে বেশি খেলত না। মাঝখান দিয়েই বেশি আক্রমণ গড়ত। নিখুঁত জায়গায় বলটা দিত। ডিফেন্সচেরা পাস যাকে বলে। অত্যন্ত স্কিলফুল প্লেয়ার। বিষ্ণুও খুবই প্রতিশ্রুতিমান। এখন স্টার হয়ে গিয়েছে। এই ইস্টবঙ্গল দলে বিষ্ণু, সায়ন, জেসিন টিকে, আমনের মতো খেলোয়াড় রয়েছে যারা আগামিদিনের ভবিষ্যৎ।''

ইস্টবেঙ্গলের নব্য তারকা বিষ্ণুর বিরুদ্ধে বহু ম্যাচ খেলেছেন সুরুচি সংঘের কোচ রঞ্জন ভট্টাচার্য। লাল-হলুদের তরুণ ফুটবলারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ তিনি। বলছেন, ''জাতীয় দলে অবিলম্বে বিষ্ণুকে ডাকা উচিত। নতুন করে ভাবুক খালিদ। অনেককেই এবার বাতিলের খাতায় ফেলা উচিত। তাদের পরিবর্তে বিষ্ণুর মতো তরুণ খেলোয়াড়কে সুযোগ দেওয়া উচিত। এরা লড়বে। এদের মধ্যে খিদেটা রয়েছে। যত্ন করলে বিষ্ণু অনেক দূর যাবে। ফুটবল বুদ্ধির খেলা। ওর তীক্ষ্ণ বুদ্ধি রয়েছে। গতি, স্ট্রেন্থ, এগুলো ওর সহজাত। ফুটবল দক্ষতা অসম্ভব ভাল। অসম্ভব স্পিডে ড্রিবল করতে পারে। এই মুহূর্তে যদি তিনজন প্রতিশ্রুতিমান ফুটবলারের কথা বলা হয়, তাদের মধ্যে শীর্ষে থাকবে বিষ্ণু।'' খালিদ জামিল কি এগুলো শুনছেন?
আরও পড়ুন: এশিয়া কাপে সুযোগ না পেয়ে ভেঙে পড়েননি, আরও বড় লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে চলেছেন যশস্বী
