আজকাল ওয়েবডেস্ক: ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গল হারতেই মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট লাল-হলুদকে ট্রোলিং শুরু করে দিল। ফেসবুকে ডুরান্ড জয়ী মোহনবাগানের 'থ্রি মাস্কেটিয়ার্স'-এর ছবি পোস্ট করা হয় মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের ফেসবুক পেজ থেকে। তার ক্যাপশন হিসেবে লেখা, দিমি-গড। ডুরান্ড কাপ। আরামসে।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে, পেত্রাতোসের একদিকে আশিস রাই। অন্যদিকে হ্যামিল। পেত্রাতোসের হাতে ডুরান্ড কাপ। ২০২৩ সালের ডুরান্ড কাপের ফাইনালে ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে ডুরান্ড কাপ ঘরে তুলেছিল মোহনবাগান। সেই ছবি পোস্ট করে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট একপ্রকার ইস্টবেঙ্গলকে খোঁচাই দিল। সেবার কার্লেস কুয়াদ্রাতের হাতে ছিল ইস্টবেঙ্গলের রিমোট কন্ট্রোল। সেবারের ডুরান্ড কাপে গ্রুপ পর্বে মোহনবাগানকে হারিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। নন্দকুমার গোল করেছিলেন সেই ডার্বিতে। তার পরেই মোহনবাগানের প্রাক্তন তারকা আরমান্দো সাদিকু সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন, ''প্রতিশোধ নিতে চাই।'' প্রতিশোধ নিয়েছিল মোহনবাগান। ফাইনালে পেত্রাতোসের গোলেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।
আরও পড়ুন: ডার্বি জয়ের পর পদস্খলন, ডুরান্ড থেকে বিদায় ইস্টবেঙ্গলের, ইতিহাসে ডায়মন্ড হারবার ...
এবারের ডুরান্ড কাপে ইস্টবেঙ্গলের কাছে হেরে ছিটকে যায় মোহনবাগান। বুধবার সেমিফাইনালে ডায়মন্ড হারবার বাধা টপকাতে পারল না অস্কার ব্রজোঁর দল। একবার গোল হজম করেও সমতা ফিরিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু তার পর একদা লাল-হলুদের ঘরের ছেলে বলে পরিচিত জবি জাস্টিনের গোলে ডায়মন্ড হারবার ফাইনালের ছাড়পত্র জোগাড় করে ফেলে। ময়দানের সেই অরণ্যপ্রবাদ আরও একবার প্রমাণিত হল। ডার্বির পরের ম্যাচেই হোঁচট খায় বড় দল, এই ২০২৫-এও তা সমান প্রাসঙ্গিক। ইস্টবেঙ্গল গোল করার মতো একাধিক সুযোগ পেয়েও গোল করতে পারেনি। সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারলে একাধিক গোলে ম্যাচ জিতলেও জিততে পারত ইস্টবেঙ্গল। যদিও ম্যাচ শেষে লাল-হলুদ কোচ অস্কার ব্রাজোঁ কিন্তু ডায়মন্ড হারবারের দুটো গোল অন্যায্য বলে দাবি করেন। ইস্টবেঙ্গল শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকারও একই দাবি করেন। বুধ-সন্ধ্যার সেমিফাইনালে ডায়মন্ড হারবারকে স্বস্তি এনে দেন গোলকিপার মিরশাদ।

বারের নীচে মিরশাদের ছায়া দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়ে ধরা দিল। তাঁকে এদিন পরাস্ত করা রীতিমতো কঠিন হয়ে গিয়েছিল। জবি ও মিরশাদের হাতে এদিন থেমে গেল ইস্টবেঙ্গলের দৌড়। জবি জাস্টিন অতীতে লাল-হলুদ জার্সিতে মোহনবাগানের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছিলেন। মোহনবাগানের জালে বল জড়িয়ে জবিকে নাচতেও দেখা গিয়েছিল। সেই জবি এদিন নায়ক। যদিও গোল করার পরে তাঁকে উদযাপন করতে দেখা যায়নি।
একের পর এক লাল-হলুদ আক্রমণ আছড়ে পড়েছিল ডায়মন্ড হারবারের পেনাল্টি বক্সে। ডার্বির নায়ক দিয়ামান্তাকোস বড়লোকের বাউন্ডুলে ছেলের মতো গোলের সুযোগ নষ্ট করেন। মিগুয়েলের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ডার্বি ম্যাচে যে স্পিরিট লক্ষ্য করা গিয়েছিল, তা সেমিফাইনালে উধাও। সেই তাগিদ দেখা গেল না। যদিও চাপ তৈরি করেছিল অস্কার ব্রুজোঁর দল কিন্তু শেষরক্ষা আর হল না। ডার্বি জয়ের আনন্দের রেশ কাটতে না কাটতেই বিপর্যয় নেমে এল লেসলি ক্লডিয়াস সরণীর ক্লাবে। আর লাল-হলুদ হারতেই মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট ডুরান্ড খোঁচা দিল ইস্টবেঙ্গলকে।
আরও পড়ুন: মহারাজের নায়ক হওয়ার দিনে শাস্তি পেলেন আরেক স্পিনার, স্টাম্প মাইক্রোফোনে ধরা পড়ে তাঁর অপরাধ
