জিতু কমল এবং দিতিপ্রিয়া রায়ের বিবাদ জারি। সরগরম টেলিপাড়া। সোমবার রাতে একটি পোস্ট দিয়ে কোনও রকম নাম না করেই ২২-এর নায়িকা জানান, তাঁকে নানা সময় নানা আপত্তিজনক মেসেজ পাঠিয়েছেন নায়ক। তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন প্রকাশ্যেই। পাল্টা দিয়েছেন জিতুও। দিতিপ্রিয়ার সঙ্গে যাবতীয় কথোপকথনের স্ক্রিনশট পোস্ট করে আত্মপক্ষ সমর্থনে নামেন ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’-এর আর্য।তারপরেই টেলিপাড়া থেকে দর্শকমহল দু’ভাগে বিভক্ত। যাবতীয় বিতর্ক নিয়ে কী বক্তব্য জিতুর প্রাক্তন স্ত্রী নবনীতা দাসের?
আজকাল ডট ইন-কে নবনীতা জানান, বিচ্ছেদ হলেও জিতুর চারিত্রিক স্বচ্ছতা নিয়ে তাঁর মনে কোনও ধন্দ নেই। ছোটপর্দার নায়িকার কথায়, “আমি ওকে নিপাট ভাল মানুষ বলেই চিনি। আমাদের সম্পর্ক থাকাকালীনও ও এরকম কিছু করেনি, যার জন্য ওর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায়। তাই ওর নামে এরকম অভিযোগ শুনে অবাকই হচ্ছি।”
নবনীতা শুধুমাত্র জিতুর সহধর্মিনী ছিলেন না। তাঁর সহকর্মীও ছিলেন। নায়িকার কথায়, জিতু আগাগোড়াই স্বল্পভাষী। নিজের ওজন বুঝে কথা বলেন। তিনি বললেন, “জিতু সেটে খুব বেশি কথা কখনওই বলে না। ওর ব্যক্তিত্ব সেরকম নয়। ও বেশিরভাগ সময়ই নিজের মতো থাকে। তবে ওর রসবোধ খুব সূক্ষ্ণ। কিন্তু তা বেশি কথা বলে বোঝাবার দরকার হয় না।”
দিতিপ্রিয়া অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার কথা শুনে জিতু জানতে চেয়েছিলেন নায়িকা প্রেগন্যান্ট কি না।সহ-অভিনেতার এই মন্তব্যকে অশালীন বলেই দাগিয়েছেন তিনি। সেক্ষেত্রে জিতুর পক্ষ নিয়ে কথা বললেও দিতিপ্রিয়ার খারাপলাগাকে সম্পূ্র্ণভাবে উড়িয়ে দেননি নবনীতা। তাঁর বক্তব্য, “দিতিপ্রিয়া বয়সে অনেকটাই ছোট। যেটা অনেকের কাছে নিছক ইয়ার্কি, তা ওর খারাপ লাগতেই পারে। তা ছাড়া কার ঠিক কতটা ইয়ার্কি নেওয়া ক্ষমতা থাকবে, সেটা তো আমরা ঠিক করে দিতে পারি না। তাই ওর খারাপ লেগে থাকলে সেটাও উড়িয়ে দেওয়া ঠিক নয়।” ২০২৩ সালে বিচ্ছেদ হয় জিতু-নবনীতার। পথ আলাদা হলেও প্রাক্তনের প্রতি তাঁর আস্থা অটল।
আজকাল ডট ইনকে জিতু জানিয়েছিলেন, সহ-অভিনেত্রীকে স্নেহ করলেও আত্মপক্ষ সমর্থনের মতো তাঁর কাছে যাবতীয় স্ক্রিনশট আছে। তিনি বলেন, “নেহাতই বাচ্চা মেয়ে। তাই এরকমটা করে ফেলেছে সঠিক সময় আসুক আমিও এর জবাব দেব। সহ অভিনেত্রীর সঙ্গে তো ঠাট্টা, ইয়ার্কি করাই যায়, ও বাচ্চা মেয়ে তাই বুঝতে পারেনি।”
জিতুর আশঙ্কা, নিজের বুদ্ধিতে নয়, বরং কারও প্ররোচনাতেই তাঁর বিরোধিতা করছেন দিতিপ্রিয়া। সেই ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘সর্বশেষে বলি,”ভিকটিম কার্ড” খেলাটা আমাদের সমাজে প্রথম নয়। অনেক উদাহরণ আছে কিন্তু এই মেয়েটির কোন দোষ নেই, এই মেয়েটি নিরপরাধ।এই মেয়েটিকে পেছন থেকে প্রবঞ্চনা দেওয়া হচ্ছে। যারা দিচ্ছে তারা কিন্তু এই মেয়েটির বিপদের সময় পাশে দাঁড়াবে না।প্লিজ মেয়েটিকে মেয়েটির পথে থাকতে দিন। কাজ করতে দিন।মেয়েটি ভালো।শিক্ষিত মেয়ে।’ পুরো পোস্ট জুড়ে সহ-অভিনেত্রীর নাম যদিও একটি বারও উল্লেখ করেননি তিনি। বরং ‘বাচ্চ মেয়ে’ বলেই তাঁকে সম্বোধন করেছেন বারবার।
