ইস্টবেঙ্গল - ৫ (চুংনুঙ্গা, ক্রেসপো, বিপিন, ডিয়ামানটাকোস, মহেশ)
সাউথ ইউনাইটেড - ০
আজকাল ওয়েবডেস্ক: লাল হলুদের পঞ্চবান। ডুরান্ড কাপের শুরুতেই চমক ইস্টবেঙ্গলের। বুধবার যুবভারতীতে সাউথ ইউনাইটেডকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিল লাল হলুদ । পাঁচ গোলদাতা লালচুংনুঙ্গা, সল ক্রেসপো, বিপিন সিং, দিমিত্রিয়স ডিয়ামানটাকোস এবং নাওরেম মহেশ। তবে বড় জয় পেলেও আরও বেশি গোলে না জেতার আফশোস হয়ত থাকবে অস্কার ব্রুজোর। বুধ সন্ধেয় যুবভারতীতে বেঙ্গালুরুর দলকে গোলের মালা পরাল লাল হলুদ। প্রথমার্ধে বিপক্ষের রক্ষণকে ঝাঁঝরা করে দেন বিষ্ণু, ক্রেসপোরা। তবে গোল সংখ্যা বাড়েনি। দ্বিতীয়ার্ধের শেষ ১০ মিনিটে তিন গোল। দলের খেলায় স্বস্তি পাবেন মাঠে উপস্থিত হাজার আঠারো সমর্থক। দীর্ঘদিন পর দাপুটে ফুটবল লাল হলুদের। গত তিন, চার বছরের ডুরান্ডের সঙ্গে তুলনা করলে ইস্টবেঙ্গলের সেরা পারফরম্যান্স। এদিন দশ গোলেও জিততে পারত অস্কার ব্রুজোর দল।
তিন বিদেশিকে নিয়ে শুরু করার কথা থাকলেও প্রথম একাদশে দু'জনকে রাখেন লাল হলুদের স্প্যানিশ কোচ। সল ক্রেসপো এবং মহম্মদ রশিদকে রেখে দল সাজান অস্কার। পরে নামান দিমিত্রিয়স ডিয়ামানটাকোসকে। তিনি নামার পর ঘুরে যায় ম্যাচের মোড়। শেষ দুই গোলের মধ্যে একটি করলেন, একটি করালেন। এদিন রক্ষণে আনোয়ারের নতুন সঙ্গী ছিলেন মারটান্ড রায়না। কিন্তু নতুন জুটিকে কোনও চ্যালেঞ্জের সামনে পড়তে হয়নি। পুরোপুরি একপেশে ম্যাচ। প্রথম মিনিট থেকেই অলআউট ঝাঁপায় ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের ১২ মিনিটে প্রথম গোল। চুংনুঙ্গার শট ক্রসবারে লেগে গোলে ঢুকে যায়। তবে তার আগেই এগিয়ে যেতে পারত কলকাতার প্রধান। শুরুতেই মহেশের শট বাঁচায় বিপক্ষের কিপার। এডমুন্ডের শট ক্রসপিসের ওপর দিয়ে ভেসে যায়। এরপরও একাধিক সুযোগ এলেও দ্বিতীয় গোলের জন্য ৩৮ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়। এডমুন্ডকে ফাউল করেন আব্দুল সালা। পেনাল্টি দেন রেফারি। স্পট কিক থেকে গোল করেন সল ক্রেসপো। বিরতিতে দু'গোলে এগিয়ে ছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু যা সুযোগ পেয়েছিল, প্রথমার্ধের আধ ডজন গোল হতে পারত। প্রথমার্ধে সাউথ ইউনাইটেডের একমাত্র সুযোগ ২৮ মিনিটে। তালিব নজিরের শট সরাসরি তালুবন্দি করেন দেবজিৎ।
এদিন মহম্মদ রশিদকে দেখে নেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল। প্রাথমিক পরীক্ষার পাস প্যালেস্টাইনের মিডিও। মাত্র চার-পাঁচ দিনের প্র্যাকটিসে ভালই খেলেন। পুরো ম্যাচ ফিট হলে খেলা আরও খুলবে। তবে প্রথমার্ধের তুলনায় দ্বিতীয়ার্ধের একটা সময় পর্যন্ত বিশেষ সুযোগ তৈরি করতে পারেনি লাল হলুদ। কিন্তু শেষে ১০ মিনিটের ঝড়। ম্যাচের ৮০ মিনিটে ডিয়ামানটাকোসের পাস থেকে ৩-০ করেন বিপন। লাল হলুদ জার্সিতে অভিষেকেই গোল পেলেন তারকা ফুটবলার। গোল করার পাশাপাশি গোল করালেনও। ম্যাচের ৯০ মিনিটে তাঁর পাস থেকেই দূরপাল্লার শটে গোল মহেশের। বক্সের বাইরে থেকে চলন্ত বলে অনবদ্য গোল। তার দু'মিনিট আগে স্কোরশিটে নিজের নাম তোলেন ডিয়ামানটাকোস। ফ্রিকিক থেকে গোল করেন গ্রিক স্ট্রাইকার। পাঁচ গোলে জয়ের দিন ইস্টবেঙ্গলের একটাই চিন্তা, পিভি বিষ্ণুর চোট। দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি মাঠ ছাড়েন প্রতিভাবান ফুটবলার। যা কিছুটা হলেও চিন্তায় রাখবে অস্কারকে। ইস্টবেঙ্গলের পরের ম্যাচ ৬ আগস্ট নামধারীর বিরুদ্ধে।
