আজকাল ওয়েবডেস্ক: মুম্বইয়ের মানখুর্দ এলাকায় একটি অটোতে ১১ বছর বয়সী এক শিশুকে পিটবুল কুকুর দিয়ে ভয় দেখানো এবং শরীরে নানা অঙ্গপ্রত্যঙ্গে কামড়ানোর এক মর্মান্তিক ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। ১৭ জুলাই ঘটে যাওয়া এই ঘটনাটি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে, যেখানে আশেপাশে উপস্থিত ব্যক্তিদের হাসতে এবং ভিডিও করতে দেখা যায়—কিন্তু কেউ সাহায্যে এগিয়ে আসেননি।

ভুক্তভোগী ছেলেটির নাম হামজা। জানা গেছে, হামজা তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে একটি অটো-রিকশায় খেলছিল, তখনই তারা একটি পিটবুল কুকুর দেখতে পায় এবং উত্তেজিত হয়ে চিৎকার করে ওঠে, “পিটবুল! পিটবুল!” এর কিছুক্ষণের মধ্যেই কুকুরটির মালিক, সোহেল খান নামের এক ব্যক্তি, পিটবুলটিকে নিয়ে অটোর মধ্যে প্রবেশ করে। শিশুরা আতঙ্কে ছুটে পালিয়ে যায়, তবে হামজা সরে যেতে না পারায় অটোতেই রয়ে যায়।

তারপর যা ঘটে, তা ছিল অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। অভিযোগ অনুযায়ী, সোহেল প্রথমে ইচ্ছাকৃতভাবে হামজাকে পিটবুল দিয়ে ভয় দেখায় এবং পরে কুকুরটিকে তাঁর উপর ছেড়ে দেয়। নিজেকে বাঁচাতে হামজা দ্রুত অটো থেকে লাফিয়ে পালানোর চেষ্টা করে, কিন্তু পিটবুলটি তাকে ধাওয়া করে এবং পুরুষাঙ্গ সহ একাধিক স্থানে কামড়ে দেয়। শিশুটি জানিয়েছে, কুকুরটি তার জামাকাপড় টেনে ধরে এবং কেউ সাহায্যে এগিয়ে আসেনি—সবাই মজা করে ভিডিও করছিল।

আরও পড়ুন: কয়েনডিসিএক্সে সাইবার হামলা: ৪৪ মিলিয়ন ডলার খোয়া গেল, গ্রাহকের অর্থ নিরাপদ বলে জানাল সংস্থা

এই ভয়াবহ ঘটনার পর হামজার বাবা মানখুর্দ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সোহেল খানের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (BNS)-এর ধারা ২৯১ (জীবনের ঝুঁকি সৃষ্টি করে এমন অবহেলাজনিত কাজ), ১২৫ (ইচ্ছাকৃত ক্ষতিসাধন), এবং ১২৫A (বিপজ্জনক প্রাণী ব্যবহার করে আঘাত করা)-এর অধীনে মামলা রুজু করেছে।

তবে ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত সোহেল খান পলাতক। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তাকে ধরার জন্য তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। শিশুটির সঙ্গে যে ধরনের নিষ্ঠুর ব্যবহার করা হয়েছে, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। মুম্বই পুলিশের কাছে দ্রুত অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছেন নেটিজেনরা।