
রবিবার ০১ জুন ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: ইয়াশিকা চন্দক। নিজেদের ছন্দে এগিয়ে চলেছেন। টিআইজিপিএস রায়গঞ্জের পড়ুয়া, দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় ৯৮.২ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন। সমস্ত টিআইজিপিএস স্কুলগুলির মধ্যে বাণিজ্য বিভাগে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন।
ভাল ফলাফলের বিষয়ে তাঁর বক্তব্য? ইয়াশিকা এগিয়ে রাখছেন তাঁর স্কুলকেই। আজকাল ডট ইন-কে সাফ জানালেন, স্কুল কামাই করতেন না। তিনি মনে করেন, সারাদিনে স্কুলে থাকলেই পড়াশোনা করা হয়ে যায় অনেকটা। বরং বাড়িতে থাকলে নষ্ট হয় সময়। সারাদিন স্কুলে পড়াশোনার পর, নিজে বাড়ি ফিরে ১ থেকে দেড় ঘণ্টা পড়েলেই হয়ে যেত। কেবল মুখ গুঁজে বই পড়া নয়। স্কুলের ‘হেড গার্ল’ ইয়াশিকা স্কুলের বাকি সব ধরনের অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন প্রথম থেকেই।
স্কুলের পাশাপাশি পরিবারের সমর্থনের কথাও তাঁর গলায়। বলছেন, একদিকে দাদুর সব বিষয়ে পাশে থাকা, অন্যদিকে মায়ের প্রার্থনা, তাঁকে সব প্রতিকূলতা সহজে অতিক্রম করতে শিখিয়েছে। ভবিষ্যতে হতে চান সিএ।
টিআইজিপিএস রায়গঞ্জের প্রধান শিক্ষক অভিজিৎ চক্রবর্তী জানালেন, এবার ৫৬ জন পড়ুয়া উচ্চমাধ্যমিক, সিবিএসই বোর্ডের পরীক্ষায় বসেছিলেন। সকলেই ভাল নম্বর নিয়ে পাশ করেছেন। তাঁর মতে, ইয়াশিকা এবার 'ট্র্যাডিশন' ভেঙেছেন। সায়েন্স নয়, ইয়াশিকা সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে কমার্স থেকে। শুধু টিআইজিপিএস রায়গঞ্জ নয়, দুই দিনাজপুর এবং মালদহ, তিন জেলা থেকে, সব বিভাগের প্রথম সে এবং সমস্ত টিআইজিপিএস স্কুলের মধ্যে বাণিজ্য বিভাগে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে সে। ইয়াশিকার উদাহরণ দিয়ে বললেন, সে উদাহরণ তাদের জন্য, যারা ভাবে টিউশন গেলেই ভাল পড়া হবে।