শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪
সম্পূর্ণ খবর
Sumit | ২৩ আগস্ট ২০২৪ ১৫ : ৪৫Sumit Chakraborty
নিতাই দে, আগরতলা : বন্যার কারণে জাতীয় সড়কের বিভিন্ন রাস্তায় ধস নেমেছে এবং ফাটল দেখা দিয়েছে। এনএইচ-৮ অসম- আগরতলা জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে গেছে। এন এইচ ৪৭ মাইল ১৮ মোড়া এলাকায় একটি বড় ফাটল তৈরি হয়েছে। যেকোনও সময় ফাটল দেখা দেওয়া রাস্তাগুলি ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। জাতীয় সড়কগুলিতে ফাটল দেখা দেওয়ার কারণে বিকল্প পথ ব্যবহার করছে পণ্যবাহী সহ যাত্রীবাহী গাড়ি। বন্যার জল কমতেই জাতীয় সড়কসহ ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলির কাজে হাত লাগিয়েছে প্রশাসন। শুক্রবার আকাশপথে গোমতী ও দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা।
এদিন সকালে বন্যা কবলিত এলাকাগুলি পরিদর্শনের জন্য গোমতি জেলা এবং দক্ষিণ ত্রিপুরার উদ্দেশ্যে এমবিবি বিমানবন্দরে একটি হেলিকপ্টারে চড়েন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকার বন্যায় বিপন্ন মানুষের প্রয়োজনে সাহায্য করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি জানান, গোমতী জেলার উদয়পুরের বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। যেখানে ভারী বৃষ্টিপাতে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশাল এলাকা জুড়ে প্লাবিত হয়েছে, অনেক মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন এবং বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা গোমতী জেলার উদয়পুরের খিলপাড়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও খিলপাড়া মার্কেট শেডের অস্থায়ী ত্রাণ শিবির পরিদর্শন করেন। সেই সঙ্গে ত্রাণ শিবিরগুলিতে থাকা মানুষকে সাহস যোগান তিনি। পাশাপাশি শিবিরগুলির সার্বিক ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন। প্রশাসনের আধিকারিকদেরও প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য প্রশাসনের কর্মকর্তারা। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকার ত্রিপুরার বন্যা পরিস্থিতিতে আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিল। কেন্দ্রীয় সরকারের এনডিআরএফের থেকে ত্রিপুরা রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য ৪০ কোটি টাকা অগ্রিম অর্থ মঞ্জুর করেছে। ত্রিপুরার জন্য এই অর্থ মঞ্জুর করার কথা জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অগ্রিম টাকা মঞ্জুর করায় কেন্দ্রীয় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা।
এই বন্যা পরিস্থিতির কারণে রাজ্যের নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর মূল্য সহ পেট্রোপণ্য, এলপিজি সিলিন্ডার সরবরাহ যাতে স্বাভাবিক থাকে সেবিষয়ে খাদ্য দপ্তর উদ্যোগ নিয়েছে৷। বন্যার কারণে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর মূল্য কোনওভাবেই যাতে স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধি না পায় এবং অত্যাবশকীয় সামগ্রীর কালবাজারি প্রতিরোধে রাজ্যের খাদ্য দপ্তর সচেষ্ট৷ এই বিষয়গুলি সামনে রেখে সচিবালয়ে খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীর অফিসের কনফারেন্স হলে খাদ্য জনসংভরণ ও ক্রেতাস্বার্থ বিষয়ক দপ্তর-এর অধিকর্তা সহ সাব ডিভিশনাল কন্ট্রোলার(ফুড),অল ত্রিপুরা ডিস্ট্রিবিউটার্স অ্যাসোসিয়েশন, অল ত্রিপুরা মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, পটেটো, ওনিয়ন অ্যান্ড গার্লিক মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, হোলসেল গ্রোসারিজ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, চেম্বার অফ ট্রেড অ্যান্ড বিজনেস, বিভিন্ন বাজার কমিটির কর্মকর্তা-প্রতিনিধি, ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের অধীন পেট্রোপণ্য ও এলপিজি সরবরাহ-এর সঙ্গে যুক্ত আইওসিএল-এর আধিকারিক-প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ উচ্চস্তরীয় বৈঠক করেন খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।