শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪

সম্পূর্ণ খবর

Exclusive: নন্দীগ্রামে ভোট হবে ছোলা-মুড়িতে!

Kaushik Roy | ২৪ মে ২০২৪ ২১ : ০০


রিয়া পাত্র, নন্দীগ্রাম

শনিবার, ষষ্ঠ দফায় ভোট চর্চিত নন্দীগ্রামে। শুক্রবার সকাল থেকেই মেচেদা স্টেশন, চণ্ডীপুর মোড়ে এমন বহু মানুষের দেখা মিলল, যাঁরা ভোটের জন্য বাড়ি ফিরছেন। নন্দীগ্রামে ফিরছেন। মেচেদায় নেমেই সস্ত্রীক আলমগীর ছোলা মুড়ি দিয়ে প্রাতঃরাশ সেরে ফেললেন। জিজ্ঞাসা করা হল, 'ভোট কেমন হবে বলে মনে হচ্ছে?' বললেন, 'ভোট হবে, কোনও একদলের নেতা জিতে যাবেন আর কী।' বাসের অপেক্ষা করে, ঘামে ভিজে জবজবে হয়ে উদয় গিরি জানালেন, 'ভোট দেব, আশা করব সাংসদ আমাদের কথা ভাববেন।' তমলুকের গতবারের সাংসদ নিয়ে যেমন ক্ষোভ কারও গলায়, কারও গলায় আসা নতুন সাংসদ বেছে নেওয়ার আগের মুহূর্তে। ভোট আগামিকাল। ভোট বলতে যেমন প্রার্থীর কথা, অশান্তির কথা, নিরাপত্তার কথা মাথায় আসে, তেমনই আসে আরও একটা বিষয়। উৎসবের মেজাজে ভোট করাতে সব দলই একগুচ্ছ ব্যবস্থা নেয়। যেমন, অনুগামী, সমর্থকদের জন্য সকাল, দুপুর খাওয়া আয়োজন। নন্দীগ্রামে কি অন্যথা হবে?

তৃণমূল বিজেপির বাকি সব বিষয়ে মতান্তর থাকলেও, দুই দলের নেতারাই বললেন, আগামিকাল সকালে ছোলা-মুড়ির ব্যবস্থা থাকছে। মানুষ যাবেন, ছোলা-মুড়ি খেয়ে ভোট দেবেন। ভোট দেবেন উৎসবের মেজাজে। বিজেপি নেতারা বলছেন, দুপুরে খাওয়ার ব্যবস্থা না থাকলেও, দলের তরফ থেকে সকালে ছোলা মুড়ির ব্যবস্থা থাকছে। প্রায় ৩০০ বুথে ভোট হবে নন্দীগ্রামে। সব জায়গায় নেতা কর্মীরা সেই বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখছেন। কালীচরণপুরে আবার শোনা গেল, সকলের ছোলা মুড়ির পর আয়োজন থাকবে মাছ ভাতেরও। তবে সব জায়গায় যে এই ব্যবস্থা হচ্ছে না, সেকথাও জানালেন নেতারা। বক্তব্য, সকালের আয়োজন করে থাকি। দুপুরে কেউ কেউ ব্যাক্তিগত আয়োজন করেন। সব জায়গায় ভাতের আয়োজন করা হয় না। সরস্বতী বাজারে যেমন বর্ষীয়ান দুজনে পরিকল্পনা সেরে ফেললেন, চা খেয়ে বেরোবেন বাড়ি থেকে। তারপর ছোলা মুড়ি খেয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে ফিরবেন বাড়িতে। একদিকে ভয়, আতঙ্ক, রাত জেগে বুথ পাহারা দেওয়া। তার মাঝেই যে ব্যক্তি সকালে ছোলা মুড়ি খেয়ে নন্দীগ্রাম গেলেন, ভোট দেবেন বলে, তিনি জানিয়ে গেলেন, আগামিকালও ছোলা মুড়ি খেয়েই দেবেন ভোট।




বিশেষ খবর

নানান খবর

Advertise with us

নানান খবর



রবিবার অনলাইন

সোশ্যাল মিডিয়া