আজকাল ওয়েবডেস্ক: যশস্বী জয়সওয়ালের জায়গায় তাঁকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দলে নিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। সেই বরুণ চক্রবর্তীই টুর্নামেন্টে ভারতীয় দলের চমক হয়ে দাঁড়ালেন। তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের পর এবার এক সাক্ষাৎকারে অজানা রহস্য সামনে আনলেন তিনি। ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজের ব্যর্থতার পর কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছিলেন বরুণ। জানালেন, সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর ফোনে প্রাণনাশের হুমকি পান তিনি। এমনকি তাঁকে ভারতে ফিরে না আসার সতর্কবার্তা দেওয়া হয় এবং চেন্নাইয়ে তাঁর বাড়ি পর্যন্ত অনুসরণ করা হয়।

 

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর বরুণ চক্রবর্তী প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলেন যে, তাঁর আন্তর্জাতিক কেরিয়ার শেষ। ২০২১ সালের জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে অভিষেক হয় বরুণের। সেই বছরের বিশ্বকাপে বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন দলে সুযোগ পান তিনি। কিন্তু প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স দিতে না পারায় কঠোর সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয় তাঁকে। বরুণ বলেন, ‘ওই সময়টা আমার জন্য খুবই কঠিন ছিল। আমি হতাশায় ডুবে গিয়েছিলাম। তারপর টানা তিন বছর দলে সুযোগ পাইনি। তাই আমার ফিরে আসার লড়াইটা অভিষেকের থেকেও কঠিন ছিল। বিশ্বকাপের পর ফোনে হুমকি পেয়েছিলাম- ‘ভারতে ফিরো না, যদি ফেরার চেষ্টা করো, তাহলে পারবে না’। এমনকি আমার বাড়ি পর্যন্ত লোকজন চলে এসেছিল, আমাকে অনুসরণ করেছিল।

 

আমাকে কখনও কখনও লুকিয়ে থাকতে হয়েছে’। বরুণ জানান, ‘২০২১ সালের পর আমাকে অনেক কিছু বদলাতে হয়েছে। আমার দৈনন্দিন রুটিন পরিবর্তন করতে হয়েছে, অনুশীলনের পরিমাণ বাড়াতে হয়েছে। আগে যেখানে প্রতি সেশনে ৫০টি বল করতাম, সেটা দ্বিগুণ করতে হয়েছে। জানতাম না নির্বাচকরা আমাকে আবার ডাকবেন কি না, তবুও পরিশ্রম করে গিয়েছি। তিন বছর পর যখন ভাবছিলাম সব শেষ, তখনই আইপিএল জিতলাম এবং দলে ডাক পেলাম। এখনকার প্রশংসা শুনে ভালই লাগে’। দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তিন ম্যাচে ৯টি উইকেট নিয়েছেন বরুণ। যার মধ্যে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে গ্রুপ-পর্বের ম্যাচে পাঁচ উইকেট ফাইফার রয়েছে।