আজকাল ওয়েবডেস্ক: বোর্ডের সভাপতি হওয়ার দৌড়ে কিংবদন্তি তারকা। রজার বিনির উত্তরসূরি হতে পারেন বহু রেকর্ডের মালিক। একটি সর্বভারতীয় সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী এমনই জানা যাচ্ছে। ২০১৯ সালে বিসিসিআই সভাপতি হন সৌরভ গাঙ্গুলি। তারপর বোর্ডের সভাপতি হন ১৯৮৩ বিশ্বকাপজয়ী রজার বিনি। বর্তমানে সভাপতিত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। অস্থায়ী সভাপতির ভূমিকা পালন করছেন সহ সভাপতি রাজীব শুক্লা। বিসিসিআইয়ের বার্ষিক সাধারণ সভায় নতুন বোর্ড সভাপতি বেছে নেওয়া হতে পারে। এখানেই ভেসে আসছে এক প্রখ্যাত ক্রিকেটারের নাম। তিনি কিংবদন্তি। তবে সেই ক্রিকেটার প্রস্তাব গ্রহণ করবে কিনা এখনও জানা নেই। সুতরাং, রাজীব শুক্লার বোর্ডের সভাপতি হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। 

বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী, বোর্ডের নির্বাচন হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। সর্বসম্মতভাবেই একজনকে বেছে নেওয়া হবে। সচিবের পদে থাকবেন দেবজিৎ সাইকিয়া। যুগ্ম সচিবের পদে রোহন গাউন্স দেশাই। কোষাধ্যক্ষ প্রভতেজ ভাটিয়া। আইপিএলের সভাপতির পদের জন্য দু'জনের নাম উঠছে। তালিকায় আছেন মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সচিব সঞ্জয় নায়েক এবং বোর্ডের বর্তমান সহ সভাপতি রাজীব শুক্লা। আবার যদি তিনি আইপিএলের সহ সভাপতি হন, তাহলে বোর্ডের সহ সভাপতি হতে পারেন বিহার ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাকেশ তিওয়ারি। সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে এজিএম হওয়ার কথা। সংস্থার নিয়ম মেনে এবার নির্বাচন হবে। মাত্র কয়েকটা পদ খালি আছে। ন্যাশনাল স্পোর্টস গভর্নেন্স অ্যাক্ট চালু হতে কিছুদিন সময় লাগবে। ততদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করবে না বিসিসিআই। চলতি জুলাইয়ে ৭০ বছরে পা দেন রজার বিনি। সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী, পুনর্নির্বাচিত হতে পারবেন না কপিল দেবের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য। 

সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বোর্ডের মসনদে থাকার কথা ছিল রজার বিনি। এক মাস আগে ৭০ এ পা দিয়েছেন ভারতের প্রাক্তন অলরাউন্ডার। কিন্তু সংসদে ন্যাশনাল স্পোর্টস বিল পেশ হওয়ায় বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভা পর্যন্ত সভাপতির ভূমিকা বিনির থাকার কথা ছিল। শুধু তাই নয়, যদি বোর্ডের বিভিন্ন রাজ্যের সদস্যরা সহমত হয়, তাহলে আরও পাঁচ বছর বিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্টের ভূমিকায় থাকতে পারতেন ১৯৮৩ বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। নতুন স্পোর্টস বিল অনুযায়ী, জাতীয় স্পোর্টস ফেডারেশনের কর্তারা ৭৫ বছর পর্যন্ত পদে থাকতে পারেন। যা আগে ছিল ৭০। বোর্ডের এক সূত্র জানান, 'সেপ্টেম্বরে বোর্ডের বৈঠক পর্যন্ত রজার সভাপতি থাকবে। নতুন করে আরও পাঁচ বছর তিনি থাকবেন কিনা সেটা নির্ভর করবে বোর্ডের বাকিদের সিদ্ধান্তের ওপর।' কিন্তু ইতিমধ্যেই সরে দাঁড়ান বিনি। যার ফলে নতুন সভাপতি নির্বাচিত হবে।