আজকাল ওয়েবডেস্ক: বলিউডের কিংবদন্তি শাহরুখ খান যেমন রূপালি পর্দায় দর্শকদের মাতিয়ে চলেছেন, তেমনি ক্রিকেটের সঙ্গেও তাঁর গভীর যোগ বহু পুরনো। কলকাতা নাইট রাইডার্সের কর্ণধার হিসেবে আইপিএলে তাঁর উপস্থিতি যেমন নজরকাড়া, তেমনি মাঠে তাঁর উল্লাস, তাঁর হাবভাব, চাঞ্চল্য আর হাত দু’দিকে মেলে ধরা বিখ্যাত ভঙ্গি ইতিমধ্যেই কিংবদন্তির মর্যাদা পেয়েছে। শাহরুখের সেই ভঙ্গিই এবার দেখা গেল একেবারে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মঞ্চে।
অস্ট্রেলিয়ায় আসন্ন তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের আগে ফটোশুটে অংশ নিয়েছিলেন অজি অধিনায়ক মিচেল মার্শ ও দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। জাতীয় পতাকা ও সিরিজ ট্রফির পাশে দাঁড়িয়ে হঠাৎই দু’জন একসঙ্গে শাহরুখ খানের বিখ্যাত ‘হাত ছড়ানো’ ভঙ্গিতে পোজ দেন। দৃশ্যটি ক্যামেরাবন্দি হতেই ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ক্রিকেটপ্রেমী থেকে বলিউড ভক্ত—সবাই মেতে ওঠেন এই মজার ঘটনায়। কেউ লিখেছেন, ‘এমন ক্রসওভার ভাবতেও পারিনি’, আবার কেউ মন্তব্য করেছেন, ‘এটাই প্রমাণ করে শাহরুখ খানের প্রভাব কতটা গভীর, খেলার মাঠ থেকে শুরু করে বিশ্ব সংস্কৃতি পর্যন্ত।’ শাহরুখের ভক্তরা বলছেন, বলিউডের রোমান্স কিংয়ের জনপ্রিয়তা এবার প্রমাণিত হল ক্রিকেট মাঠেও, যা নিঃসন্দেহে ভারতীয় সিনেমার বিশ্বব্যাপী প্রভাবেরই প্রতিফলন।
উল্লেখ্য, এই সিরিজ শুরুর আগে শিরোনামে এসেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার আরও এক ক্রিকেটার। তিনি ওয়েন পার্নেল। তিনি বলছেন, 'আমার মনে হয় সবাই যে উত্তরটি খুঁজছে তা হল বিরাট কোহলি, কিন্তু আমি যখন খেলা শুরু করেছিলাম, বীরেন্দ্র শেহবাগ আমার মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। শচীন তেণ্ডুলকর যখন ২০০ রান করেছিল, ব্যাটিং কত সহজ, সেটা দেখিয়ে দিয়েছিল। অত্যন্ত দক্ষ ব্যাটসম্যান ছিলেন। শেহবাগ অনেক বাউন্ডারি মারত। তেণ্ডুলকর খেলাটা নিয়ন্ত্রণ করত। শচীন মাঠের নির্দিষ্ট জায়গায় মারত, আমরা ওই জায়গা কভার করার চেষ্টা করতাম। তার পর শচীন অন্য জায়গায় মারত। ভারতের বিরুদ্ধে খেললে এই দুই ক্রিকেটার বিনিদ্র রজনী উপহার দিয়েছে। মহেন্দ্র সিং ধোনিকে ডেথ ওভারে বল করা ছিল খুব কঠিন।'
২০১১ বিশ্বকাপে ভারতের ওপেনার ছিলেন শেহবাগ। কিন্তু তার আগেই অবসরের ভাবনা নিয়ে ফেলছিলেন। ধোনির নেতৃত্বে দীর্ঘদিন দলের বাইরে থাকায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলছিলেন তারকা ক্রিকেটার। কিন্তু বন্ধু এবং ব্যাটিং পার্টনারের পরামর্শে কেরিয়ার বদলে যায়। ২০০৭-০৮ কমনওয়েলথ ব্যাংক সিরিজের প্রসঙ্গ টানেন বীরু। ক্যাঙ্গারুদের দেশে ত্রিদেশীয় সিরিজে ভারত ছাড়াও অংশ নেয় অস্ট্রেলিয়া এবং শ্রীলঙ্কা। পাঁচ ম্যাচ খেললেও ফর্মে ছিলেন না। ৮১ রান করেন। গড় ১৬.২০। সর্বোচ্চ রান ৩৩। খারাপ ফর্মের জন্য শেষ তিন ম্যাচ থেকে বাদ পড়েন। ভারত সিরিজ জেতে। ব্যাট হাতে ফর্মে ছিলেন শচীন তেন্ডুলকর এবং গৌতম গম্ভীর। ভারতের ঐতিহাসিক জয়ের পর, দলে শেহবাগের জায়গা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ২০১১ সালে বিশ্বকাপে শচীনের সঙ্গে ওপেন করেন। শেষ পর্যন্ত ২০১৫ সালে অবসর নেন।
