আজকাল ওয়েবডেস্ক: নজরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপসেই দিকে লক্ষ্য রেখেই নির্বাচকরা এশিয়া কাপের দল বেছে নিয়েছেনসূর্যকুমার যাদব দলের অধিনায়কশুভমান গিল দলের ভাইস ক্যাপ্টেন। এবারের এশিয়া কাপ হচ্ছে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। ভারতের অভিযান শুরু ১০ সেপ্টেম্বর। ১৪ সেপ্টেম্বর ভারত-পাক বিস্ফোরক ম্যাচ

শুভমান গিলকে নিয়ে চর্চা চলছিল। তিনি কি এশিয়া কাপের দলে ঢুকবেন? এ নিয়ে তীব্র আলোচনা চলছিল। ইংল্যান্ডের মাটিতে শুভমান গিলের নেতৃত্বে ভারত টেস্ট সিরিজে সমতা ফিরিয়ে দেশে ফিরেছে। এরপরে শুভমান গিলকে এশিয়া কাপে বাইরে রাখা সম্ভব ছিল না।

এশিয়া কাপে ভারতীয় দলের হয়ে ওপেন করবেন অভিষেক শর্মা ও সঞ্জু স্যামসন। অভিষেক শর্মা এই মুহূর্তে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে একনম্বর ব্যাটসম্যান। তাঁর সঙ্গে ওপেন করতে দেখা যাবে সঞ্জু স্যামসনকে। যে সঞ্জু টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে তিনটি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন

আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দিনক্ষণ ঘোষিত, ফাইনাল কোথায়?

কিন্তু গিলকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মনে করা হচ্ছে ওপেন করবেন অভিষেক শর্মা ও শুভমান গিল। সঞ্জু স্যামসন হয়তো প্রথম একাদশে জায়গা পাবেন না। দল নির্বাচনের পর থেকে তা নিয়ে চলছে বিতর্ক।

সূর্যকুমার যাদবকেও এই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছেঅধিনায়কদের সাংবাদিক বৈঠকে সঞ্জু স্যামসনকে নিয়ে প্রশ্ন হলে সূর্য বলেন, ''স্যর প্রথম একাদশ কী হবে, তা আমি আপনাকে মেসেজ করে দেব। তবে এটা ঠিক আমরা ওর প্রতি নজর রাখছি। চিন্তার কোনও কারণ নেই। সঠিক সিদ্ধান্তই আমরা নেব''

এদিকে, এশিয়া কাপের আগের দিন দুবাইয়ে অধিনায়কদের সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু একটি ঘটনা সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব এবং পাকিস্তানের অধিনায়ক সলমন আলি আঘাকে পাশাপাশি বসানো হয়নিদু'জনের মাঝে ছিলেন আফগানিস্তানের অধিনায়ক রশিদ খান। ইচ্ছাকৃতভাবেই এভাবে বসার ব্যবস্থা করেন আয়োজকরা। যাতে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশের অধিনায়কের মধ্যে দূরত্ব বজায় থাকে। ভারত-পাকিস্তান মহারণের আগে কোনওরকম ঝামেলা চায় না তাঁরা। এমনিতেই এই ম্যাচকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি তেতে রয়েছে। তাই কোনওরকম ঝুঁকি নিতে চায় না নির্বাচকরা।

বুধবার সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করবে ভারত। তবে ইতিমধ্যেই সবার নজর ১৪ সেপ্টেম্বর ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের দিকে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের প্রসঙ্গ উঠতেই সূর্যকুমার যাদব বলেন, ''মাঠে সবসময় আগ্রাসন থাকে। জিততে হলে আগ্রাসী মনোভাব না থাকলে হয় না।''

স্পষ্ট জানিয়ে দেন প্রতিপক্ষকে জমিও ছাড়বেন না তাঁরা। আগ্রাসী ক্রিকেটে খেলবেন। পাকিস্তান অধিনায়ক সলমন আঘা অবশ্য এই বিষয়ে ভিন্ন মতামত প্রকাশ করেন। আগ্রাসন প্রসঙ্গে কিছুটা সমঝে উত্তর দেন। সলমন বলেন, ''কেউ আগ্রাসন দেখাতে চাইলে, সেটা তাঁদের ওপর নির্ভর করে। আমার দিক থেকে তেমন কোনও নির্দেশ থাকবে না।''

আরও পড়ুন: আকস্মিকভাবেই ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে সম্পর্কছিন্ন হয়েছিল, সেই তারকা সই করলেন নতুন ক্লাবে ...