আজকাল ওয়েবডেস্ক: অধিনায়ক হিসেবে প্রথম টেস্ট সিরিজ জয়। ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে ২–০ সিরিজ জিতেছে টিম ইন্ডিয়া। এবার সামনে অস্ট্রেলিয়া সফর। সেখানে ভারতের একদিনের দলের নতুন অধিনায়ক শুভমান। সাদা বলের ক্রিকেটে নিজের প্রথম সিরিজ নিয়ে এখন থেকেই মাথা ঘামাতে শুরু করে দিয়েছেন শুভমান। অস্ট্রেলিয়া পৌঁছানোর আগেই সেই সিরিজের পরিকল্পনা সেরে ফেলতে চাইছেন তিনি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারানোর পরেই শুভমানের কাছে প্রশ্ন ছিল, অস্ট্রেলিয়া সিরিজের পরিকল্পনা কি হয়েছে? জবাবে শুভমান বলেন, ‘লম্বা বিমানযাত্রা রয়েছে। বিমানেই গোতি ভাইয়ের (গৌতম গম্ভীর) সঙ্গে আলোচনা সেরে ফেলতে পারব।’ শুভমানের কথা থেকে পরিষ্কার, অস্ট্রেলিয়া নেমে নয়, তার আগেই তিনি পরিকল্পনা সেরে ফেলতে চাইছেন।
প্রসঙ্গত, অস্ট্রেলিয়ায় তিন ম্যাচের এক দিনের সিরিজ খেলবে ভারত। রয়েছে তিনটি টি২০ ম্যাচও। দিল্লিতে ফলো–অন করিয়েও ক্যারিবিয়ানদের ইনিংসে হারাতে পারেনি ভারত। কেন দ্রুত ফলো–অনের সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছিলেন, তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন ভারত অধিনায়ক। শুভমান বলেন, ‘আমরা প্রায় ৩০০ রানে এগিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম, শেষ দিন যদি ৫০০ রানেও এগিয়ে থাকি এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৬,৭ উইকেট তুলতে হয় তাহলে সমস্যা হতে পারে। সেই কারণেই ফলো–অন করিয়েছিলাম।’
এই সিরিজে পেসার–অলরাউন্ডার হিসাবে নীতীশ কুমার রেড্ডিকে হারিয়েছে ভারত। কিন্তু দু’টি টেস্টেই তাঁকে বিশেষ কিছু করতে হয়নি। দিল্লিতেও বল করেননি। তাঁকে শুধু বিদেশের মাটিতে খেলা ক্রিকেটার হিসাবে তৈরি করতে চায় না ভারতীয় দল। শুভমান বলে দিয়েছেন, ‘আমরা চাই না, ও শুধু বিদেশের মাটিতে খেলা ক্রিকেটার হয়ে থাক। সেই কারণেই ওকে ভারতেও খেলানো হচ্ছে। কারণ, শুধু বিদেশের মাটিতে খেললে ক্রিকেটারের উপর চাপ বেশি পড়ে। আমরা জানি, ও ম্যাচ উইনার। তাই সব পরিবেশেই ওকে খেলাতে চাই।’
দিল্লি টেস্টের সেরা হয়েছেন কুলদীপ। তিনি বলেছেন, ‘এই উইকেটে বল করাটা বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল। এখানে অনেক বেশি ওভার বল করতে হয়। এই চ্যালেঞ্জটা বেশ উপভোগ করি।’ অশ্বিন অবসর নেওয়ার পর টেস্টে ভারতের স্পিন আক্রমণের নেতৃত্বে এখন জাদেজা। কুলদীপের কথায়, ‘জাড্ডু ভাই ভীষণ সাহায্য করে। সাধারণত প্রথম একাদশে না থাকলে সকলে একটু আরাম করে। কিন্তু জাড্ডু ভাই আমাকে একই রকম পরিশ্রম করতে বলে। সব সময় ম্যাচের জন্য তৈরি থাকতে বলে। ওর কথা আমাকে অনুপ্রাণিত করে।’
এদিকে, সিরিজ সেরা হয়েছেন জাদেজা। তাঁর কথায়, ‘গত পাঁচ–ছয় মাস ধরে আমরা যে ধরনের ক্রিকেট খেলছি, সেটাই ধরে রাখতে তাই। গোতি ভাই বলে গিয়েছে, আমি এখন দলের ছ’নম্বর। তাই আমি বিশেষজ্ঞ ব্যাটারের মতোই ভাবছি। তাতে সুবিধা হচ্ছে। আগে সাত, আট, ন’নম্বরে নামতাম। তাই মানসিকতাও অন্য রকম ছিল। এখন ক্রিজে অনেক বেশি সময় কাটাতে চাইছি।’
