আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ দেশের নতুন টেস্ট অধিনায়ক তিনি। লিডসে প্রথম ইনিংসে শতরানও করেছেন শুভমান গিল। সেই গিল নিয়মের তোয়াক্কা করছেন না। এক টেস্টে একবার নয়, দু’‌বার নিয়ম ভাঙলেন তিনি।


ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের পঞ্চম দিন জার্সির নীচে লাল রঙের জামা (ইনার) পরে খেলতে নামেন তিনি। এটা ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থার নিয়মবিরুদ্ধ। এই দোষের কারণে কি শাস্তি পাবেন ভারত অধিনায়ক?


মঙ্গলবার হেডিংলেতে পঞ্চম দিনের খেলা শুরু হওয়ার পর দেখা যায়, শুভমানের জার্সির নীচে লাল রঙের জামা দেখা যাচ্ছে। সাদা জার্সির নীচে সেই জামা চোখে পড়ছিল। যেহেতু জার্সির রং সাদা, তাই নীচের লাল রঙের জামা বেশি চোখে পড়ছিল। আইসিসি–র নিয়মে স্পষ্ট করে বলা আছে, কোনও ক্রিকেটার যদি জার্সির নীচে জামা পরতে চান, তাহলে টেস্টে তাঁকে সাদা রঙের জামা পরতে হবে। অন্য কোনও রঙের জামা পরা যাবে না। একদিনের ক্রিকেট ও টি২০–র ক্ষেত্রে অবশ্য ছাড় রয়েছে। সেখানে সাদা রঙের পাশাপাশি জার্সির মূল রঙের জামা পরা যাবে।


এই নিয়ম থেকে স্পষ্ট, শুভমান আইসিসি–র নিয়ম মানেননি। পঞ্চম দিন ঘণ্টাখানেক খেলা হওয়ার পর অবশ্য দেখা যায়, জার্সির একেবারে উপরের বোতাম লাগিয়ে নিয়েছেন শুভমান। ফলে তখন আর নীচের লাল জামা দেখা যাচ্ছিল না। তবে কেন তিনি কলারের বোতাম লাগিয়েছেন তা জানা যায়নি। 


প্রসঙ্গত, আইসিসি–র নিয়মে বলা রয়েছে, ক্রিকেটাররা জার্সির নীচে স্কিনস (শরীরের সঙ্গে চেপে থাকা জামা) পরতে চাইলে সেটাও সাদা রঙেরই পরতে হবে। হেডিংলেতে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণাকে তা পরতে দেখা গিয়েছে। শুভমান ব্যাট করার সময়ও তা পরেন। তবে তা সাদা রঙের। ফিল্ডিং করার সময় অন্য রঙের জামা পরে নিয়ম ভেঙেছেন তিনি।


বুমরা, সিরাজ, জাদেজার জার্সির নীচেও কালো রঙের কিছু একটা দেখা যাচ্ছিল। তবে পরে বোঝা যায়, সেটা জামা নয়। খেলোয়াড়েরা এক ধরনের ‘স্পোর্টস ব্রা’ পরে থাকেন। খেলা চলাকালীন তাঁধের হৃদ্‌স্পন্দন বা রক্তচাপ কেমন তা জানা যায় তার মাধ্যমে। সাধারণত বোলারদের এই ‘স্পোর্টস ব্রা’ পরতে দেখা যায়।