আজকাল ওয়েবডেস্ক: ইডেন টেস্ট শেষ হয়ে গিয়েছে আড়াই দিনে। ভারত অধিনায়ক শুভমান গিল দ্বিতীয় ইনিংসে আর ব্যাট করতে নামেননি ঘাড়ের চোটের জন্য। দ্বিতীয় টেস্টেও তিনি অনিশ্চিত। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই গিলকে নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। 

ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের একটি সূত্র জানিয়েছেন, আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে শুভমান গিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিসিসিআই গিলের ক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো করতে চায় না। চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে শুভমান গিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।''

সেই সূত্রটি আরও বলেছেন, ''এখন পর্যন্ত এটা বলা কঠিন যে গিল দ্বিতীয় টেস্ট খেলবে, তবে দেখা যাক পরবর্তী মেডিকেল স্ক্যানে গিলকে নিয়ে কী রিপোর্ট আসে। প্রয়োজনে ওকে যথাযথ সময় এবং বিশ্রাম দেওয়া হবে।"    "

গিল যদি দ্বিতীয় টেস্টে নামতে না পারেন, তাহলে ঋষভ পন্থকে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় টেস্টের বল গড়াবে বর্ষাপাড়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। 

শনিবার সকালে ব্যাট করতে নেমে কিছুক্ষণ পরই রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন অধিনায়ক শুভমন গিল। 

ওয়াশিংটন সুন্দর আউট হওয়ার পর ৩৫তম ওভারে নেমে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ইনিংসের সূচনা করেছিলেন তিনি। সাইমন হার্মারের বলে দারুণ এক বাউন্ডারিতে ইনিংস শুরু করেন, কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই চোটের কারণে তাকে মাঠ ত্যাগ করতে হয়।

তার পরে গঙ্গা দিয়ে গড়িয়ে গিয়েছে অনেক জল। রবিবার সকালে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের তরফ থেকে জানানো হয়, ''দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে চলতি ইডেন টেস্টে অধিনায়ক শুভমন গিল ঘাড়ে চোট পান। দ্বিতীয় দিনের খেলার শেষে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এই টেস্ট ম্যাচে তাঁকে আর খেলতে দেখা যাবে না। বিসিসিআই-এর মেডিক্যাল টিম গিলকে পর্যবেক্ষণে রাখবে।'' 

শনিবার সাইমন হার্মারের বলে দারুণ এক বাউন্ডারিতে ইনিংস শুরু করেন গিল। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই চোটের কারণে তাঁকে মাঠ ত্যাগ করতে হয়।

গিলের চোট প্রসঙ্গে মেডিক্যাল বুলেটিন আগেই জারি করেছিল বিসিসিআই। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের আপডেট অনুযায়ী, গিলের ঘাড়ে ‘নেক স্প্যাজম’ ধরা পড়ে। দ্বিতীয় দিনের শেষে মাঠ থেকেই অ্যাম্বুল্যান্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় গিলকে তাঁর ঘাড়ের পরীক্ষার জন্য। 

বোর্ডের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘'শুভমন গিলের নেক স্প্যাজম হয়েছে এবং তাঁকে বিসিসিআই মেডিক্যাল টিম পর্যবেক্ষণে রাখছে। আজকে তিনি খেলতে পারবেন কি না, তা তার চিকিৎসার অগ্রগতির ওপর নির্ভর করবে।'’

হার্মারের প্রথম দুটি বল সহজেই খেলে নেওয়ার পর স্কোয়ার লেগের ওপর দিয়ে সুইপ করে আত্মবিশ্বাসের পরিচয় দেন গিল। ঠিক সেই শটের পর ফলো-থ্রুতে ঘাড়ে অস্বস্তি অনুভব করতে দেখা যায় তাঁকে।

সঙ্গে সঙ্গে হেলমেট খুলে তিনি ঘাড় চেপে ধরেন। দ্রুতই ফিজিও মাঠে ছুটে আসেন। কিছুক্ষণ পরীক্ষার পর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে তাঁকে মাঠ থেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গিল যখন অবসৃত হন, তখন তাঁর রান ছিল ৪। গিলকে ঝকঝকে দেখাচ্ছিল। ৩ বলের মধ্যে একটি ভাল বাউন্ডারিও মারেন। কিন্তু তারপরই ঘাড়ের কাছে ব্যথা অনুভব করেন ভারত অধিনায়ক। শেষমেশ ওই ব্যথা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে। দিনের শেষে চোটের পরীক্ষানিরীক্ষার জন্য যেতে হয়  হাসপাতালে। শনিবার রাতের খবর তাঁকে পর্যবেক্ষণ এবং সতর্কতার জন্য আইসিইউ-তে রাখা হয়েছিল। রবিবার সকালে বোর্ডের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, ইডেন টেস্ট থেকে ছিটকে গিয়েছেন ভারত অধিনায়ক। রবি-রাতেই আবার হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে। দ্বিতীয় টেস্টেও এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়লেন শুভমন গিল।