আজকাল ওয়েবডেস্ক: রাজস্থান রয়্যালস ছাড়তে চান সঞ্জু স্যামসন। দীর্ঘদিন ধরে এই ফ্রাঞ্জাইজিতে খেলছেন স্যামসন। কয়েক সপ্তাহ আগেই শোনা গিয়েছিল, রাজস্থান রয়্যালসের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে ট্রেডিংয়ে নিতে চাইছে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি। এর মধ্যে রয়েছেন খোদ ক্যাপ্টেন সঞ্জু স্যামসনও। রাজস্থান ক্যাপ্টেন নিজেও দল ছাড়তে চান। জনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইটের খবর অনুযায়ী, রাজস্থান রয়্যালসকে ক্যাপ্টেন সঞ্জু স্যামসন অনুরোধ করেছেন তাঁকে রিলিজ করার জন্য। আগামী সংস্করণে মিনি অকশন নাকি ট্রেডিংয়ে অন্য দলে যাবেন, তা খুব তাড়াতাড়িই হয়ত খোলসা হয়ে যাবে।
এটা ঘটনা শেষ আইপিএলেই বোঝা গিয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস ক্যাপ্টেনের সঙ্গে টিম ম্যানেজমেন্টের কিছু একটা সমস্যা হয়েছে। টিমের অনেক সিদ্ধান্তেই মত ছিল না অধিনায়কের। তাঁকে সেই অর্থে গুরুত্বও দেওয়া হয়নি। মরসুমের প্রথম তিন ম্যাচে ফুল ফিট না থাকায় স্পেশালিস্ট ব্যাটার হিসেবে খেলেছিলেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন রিয়ান পরাগ। পরের দিকে হাতে গোনা ম্যাচে সুযোগ পেয়েছিলেন সঞ্জু।
সূত্রের খবর, আইপিএল শেষেই টিম ম্যানেজমেন্টকে অনুরোধ করেছিলেন অধিনায়ক সঞ্জু। যদিও পরিষ্কার কোনও জবাব মেলেনি। মনে করা হচ্ছে হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে আলোচনার পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। রাজস্থান ছাড়লে চেন্নাই সুপার কিংসে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা প্রবল সঞ্জু স্যামসনের। এখনও অবধি পরিস্থিতি সেদিকেই ঝুঁকে রয়েছে। গত মরসুমে ছয় প্লেয়ারকে রিটেন করেছিল রয়্যালস। তার মধ্যে অন্যতম ছিলেন সঞ্জু স্যামসন। কিন্তু স্যামসন এবার নিজেই চাইছেন দল ছাড়ছে। চেন্নাই সুপার কিংসও চাইছে ধোনির পরিবর্ত হিসেবে স্যামসনকেই।
এদিকে, ফের বিতর্কে দিগ্বেশ রাঠি। আইপিএলে ‘নোটবুক’ সেলিব্রেশন করে একাধিক বার শাস্তি পেয়েছিলেন এই ক্রিকেটার। জরিমানার পর এক ম্যাচ নির্বাসিতও করা হয়। কিন্তু নিজেকে শুধরে নেওয়ার চেষ্টাই করছেন না দিল্লির বোলার। এ বার দিল্লির টি২০ লিগে বিপক্ষের ব্যাটারের সঙ্গে ঝগড়া করলেন। তার পরেই জোড়া ছক্কা হজম করলেন সেই ব্যাটারের হাতেই।
সাউথ দিল্লি সুপারস্টার্জের হয়ে খেলছেন দিগ্বেশ। তাদের খেলা ছিল ওয়েস্ট দিল্লি লায়ন্সের সঙ্গে। তখন ম্যাচের পঞ্চম ওভার চলছে। ওয়েস্ট দিল্লির অঙ্কিত কুমারকে বল করতে গিয়ে আচমকা থেমে যান দিগ্বেশ। পিছনে ফিরে আবার রান–আপ নিতে শুরু করেন। ব্যাটার বিরক্ত হলেও কিছু বলেননি।
দিগ্বেশ পরের বলটা করার আগেই ব্যাটার সরে যান ক্রিজ থেকে। আবারও আম্পায়ার সেই বল বাতিল করে দেন। এতেই রেগে যান দিগ্বেশ। অঙ্কিতের উদ্দেশে অশ্রাব্য ভাষায় কিছু কথা বলেন। আবার রান–আপে ফিরে যান। অঙ্কিত মুখে কিছু বলেননি। জবাব দেন ব্যাটে। দিগ্বেশের পরের ওভারের প্রথম দুটো বলেই ছক্কা মারেন। একটা লং–অন, একটা মিড–উইকেটের উপর দিয়ে। তার পর আঙুল দিয়ে একটা বিশেষ ইঙ্গিতও করেন।
দিগ্বেশ ওই ম্যাচে উইকেট পাননি। ৪৬ বলে ৯৬ রান করে ওয়েস্ট দিল্লিকে জেতান অঙ্কিত।
এটা ঘটনা, আইপিএলে কিংস পাঞ্জাব ম্যাচে প্রিয়াংশ আর্যকে আউট করে তাঁর সামনে গিয়ে ‘নোটবুক’ সেলিব্রেশন করেন লখনউ সুপার জায়ান্টসের দিগ্বেশ রাঠি। সেই ম্যাচে তাঁর জরিমানা হয়। আবারও একটা ম্যাচে একই কাজ করে জরিমানা দেন। হায়দরাবাদ ম্যাচে অভিষেক শর্মাকে আউট করার পর মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে বলেছিলেন। সেই ম্যাচের পর তাঁকে এক ম্যাচের জন্য নির্বাসিত করা হয়।
